ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: এবার বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati University) ঐতিহ্যশালী পৌষমেলাতেও বাধা হয়ে দাঁড়াল মারণ ভাইরাস। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, করোনার কারণে চলতি বছরে হবে না পৌষমেলা। তবে আয়োজন করা হবে পৌষ উৎসবের। দীর্ঘদিনের মেলা বন্ধের খবরে স্বাভাবিকভাবেই মুখভার বোলপুরবাসী-সহ গোটা বাংলার মানুষের।
মেলার মাঠে পাঁচিল তোলাকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি নজিরবিহীন অশান্তির মুখে পড়েছিল দেশের ঐতিহ্যবাহী কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বভারতী। এ নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরও চলেছে প্রচুর। প্রায় প্রতিদিনই নতুন বিতর্ক, সমালোচনা চলছে। সেসবের মাঝেই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছিল, এ বছরও পৌষমেলা হবে। তাতে কোনও ছেদ পড়বে না। পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে চারদিন মেলা হবে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বলা হয়েছিল কেন্দ্রের কাছে আবেদন করা হবে যাতে মেলার আয়োজনে সাহায্যের জন্য। এপর্যন্ত সব ঠিক থাকলেও করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত বদল করল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
[আরও পড়ুন: দিওয়ালির আগেও রাজ্যে লাগামহীন সংক্রমণ, দৈনিক করোনা আক্রান্তের নিরিখে ফের শীর্ষে কলকাতা]
জানা গিয়েছে, সোমবার বিশ্বভারতীতে কোর্ট সদস্য সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত, সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রাক্তন বিচারপতি শখারাম সিং যাদব, সঞ্জয় বুধিয়া, বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী-সহ বিশ্বভারতীর বিভিন্ন বিভাগের অধ্যক্ষ এবং বিভাগীয় প্রধানদের নিয়ে একটি বৈঠক হয়। সেখানেই আলোচনা হয় পৌষমেলা নিয়ে। বৈঠকে উপাচার্য জানিয়ে দেন, করোনার (Coronavirus) জন্য এবার মেলা আয়োজন করা সম্ভব হবে না। কিন্তু পৌষমেলা না হলেও পৌষ উৎসব হবে। জানা গিয়েছে, পৌষ উপাসনা, পরলোকগত আশ্রমিকদের স্মরণ, মহর্ষি স্মারক বক্তৃতা, প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন, সমাবর্তন এবং খ্রিষ্টোৎসব অনুষ্ঠানগুলি পালিত হবে। তবে পৌষ মেলা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কর্মসমিতির বৈঠকের পরই হবে। তবে এই বিষয়ে মুখ খোলেননি বিশ্বভারতীর মুখপাত্র অনির্বাণ সরকার।