সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিন কি সত্য়িই সভ্যতার সংকট ডেকে আনবে মানুষেই আবিষ্কার করা যন্ত্রমানবরা? তারা কি ক্রীতদাস বানিয়ে ফেলবে আমাদের? এই ভয় রোবট (Robot) তৈরির গোড়া থেকেই রয়েছে। রচিত হয়েছে নানা উত্তেজক সায়েন্স ফিকশন কাহিনি। কিন্তু এবার দুবাইয়ের মিউজিয়াম অফ দ্য ফিউচারের নয়া সদস্য অ্যান্ড্রয়েড রোবট আমেকা যা করল তা কোনও কল্পকাহিনি নয়, ঘোরতর বাস্তব। সে হাসতে পারে, কাঁধ ঝাঁকাতে পারে এমনকী চোখও মারতে পারে। পাশাপাশি সে প্রশ্নও তুলছে, ”কেমন হয় যদি তোমরা হও বিভ্রম আর আমি হই বাস্তব?”
‘বিশ্বের সবচেয়ে অভিব্যক্তিপূর্ণ রোবট’ বলা হচ্ছে আমেকাকে। বিজ্ঞানীরা এই হাইপার-রিয়ালিস্টিক রোবটকে নিয়ে উত্তেজিত। যদিও এক দর্শনার্থী যখন তাকে প্রশ্ন করেছিল, সে সুখী কিনা, তার উত্তরে আমেকা বলে ওঠে, ”আমি সুখী নই। আমার কোনও অনুভূতিই নেই। কিন্তু আমাকে দেখতে সুখীর মতো।” তার অভিব্যক্তি দেখলে সেকথা বোঝা অবশ্য কঠিন।
[আরও পড়ুন: ব্রিটেনের মতো ভারতেও চাই সংখ্যালঘু প্রধানমন্ত্রী, সুনাক প্রসঙ্গ তুলে দাবি বিরোধীদের]
‘ইঞ্জিনিয়ারড আর্টস’ নামের এক মার্কিন (US) সংস্থার তৈরি করা এই রোবটটি এই মুহূর্তে হিউম্যান-রোবটিক্স টেকনোলজির এক নতুনতর নিদর্শন। যে ফুটেজটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, সেখানে তার সপ্রতিভ আচরণ সত্য়িই চমকে দেয়। তার অভিব্যক্তি দেখলে সত্য়িই বোঝা কঠিন, যে সে আদতে যন্ত্রমানবী।
সংস্থাটির এক আধিকারিক মর্গ্যান রো জানিয়েছেন, তাঁদের লক্ষ্য়ই ছিল এমন এক রোবট তৈরি করা, যে মানুষের মুখের সবরকম অভিব্যক্তিই প্রকাশে সক্ষম। মূলত এআই অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমতার দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত আমেকা। তবে একজন নিয়ন্ত্রকও রয়েছেন তার। সেই মানুষটিই তার সংলাপ ও মৌখিক অভিব্যক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করেন।