সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চেষ্টা চলছিল সেই ২০১৬ থেকেই। বিতর্কিত ঋণখেলাপি শিল্পপতি বিজয় মালিয়ার (Vijay Mallya) বহুচর্চিত কিংফিশার হাউস বিক্রির। কিন্তু কোনওভাবেই ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে নবম বারের চেষ্টায় মুম্বইয়ের ভিলে পার্লে অবস্থিত মালিয়ার ওই সম্পত্তি নামমাত্র ৫২.২৫ কোটিতে বিক্রি করল অনাদায়ী ঋণ উদ্ধার সংস্থা বা ডিবিটি।
মালিয়ার এই সম্পত্তি কিনল হায়দরাবাদের বেসরকারি জমি কেনাবেচা সংস্থা ‘স্যাটার্ন রিয়েলটর্স’, যা বাজারমূল্যের প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ। এক সময় বিজয় মালিয়ার উড়ান সংস্থা কিংফিশার এয়ারলাইন্স লিমিটেডের সদর দপ্তর হিসাবে ব্যবহৃত হত বাড়িটি। শুরুতে বাড়িটির দাম রাখা হয়েছিল ১৫০ কোটি টাকা। কমতে কমতে প্রথমে তা ১৩৫ কোটিতে এবং পরে ৯৫ কোটিতে নেমে আসে। শেষমেশ তা ৫২.২৫ কোটি টাকায় বিক্রি হল।
[আরও পড়ুন: Khela Hobe: অনুমতি দিয়েও পরে প্রত্যাহার, গুজরাট তৃণমূলের ‘খেলা হবে দিবস’ পালন নিয়ে ধন্দ]
৩১ জুলাই রেজিস্ট্রিও হয়ে গিয়েছে বলে খবর। মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ বিমানবন্দরের কাছে অবস্থিত এই ‘কিংফিশার হাউস’ ২,৪০২ বর্গ মিটার আয়তনের জমির উপর অবস্থিত। মালিয়ার অনাদায়ী ঋণের টাকা উদ্ধার করতে ২০১৬ সালে প্রথমে বাড়িটিকে নিলামে তোলা হয়। তার পর থেকে আটবারের চেষ্টাতেও বাড়িটির জন্য কোনও ক্রেতা পাওয়া যায়নি। একটি রিয়েল এস্টেট রিসার্চ সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর পঙ্কজ কাপুরের মতে, এখন বাজারের অবস্থা খারাপ। তার উপর বিমানবন্দরের কাছে সম্পত্তিটি অবস্থিত হওয়ায় উচ্চতা বাড়ানোর উপায় নেই। ওখানে নতুন করে নির্মাণ করা যাবে না। যা দাম মিলেছে, সেটাই যথেষ্ট বলে মনে করেন পঙ্কজ।
উল্লেখ্য, আর্থিক সংকটের জেরে ২০১২-র ২০ অক্টোবর থেকে পরিষেবা বন্ধ করে দেয় কিংফিশার এয়ারলাইন্স। তার পর সংস্থা পুনর্গঠনের জন্য নেওয়া ঋণ অন্য খাতে পাচার করে বিদেশে পালানোর অভিযোগ রয়েছে বিজয় মালিয়ার বিরুদ্ধে। স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার (SBI) নেতৃত্বাধীন ১৪টি ব্যাংকের কনসর্টিয়ামের কাছে তাঁর অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা।