সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার থেকেই ঘুমাতে যাবে ভারতের চন্দ্রযান (Chandrayaan 3)। ল্যান্ডিংয়ের পর চাঁদের হিসাবে একদিন কাজ করেছে ল্যান্ডার বিক্রম (Lander Vikram) ও রোভার প্রজ্ঞান (Rover Pragyan)। এবার সূর্যাস্তের সময় এসে গিয়েছে। তাই যন্ত্রপাতিকে ঘুমোতে পাঠানো হবে বলেই জানিয়েছে ইসরো (ISRO)। তবে এই ঘুমের পর ফের জেগে উঠে ভারতের চন্দ্রযান কাজ করতে পারবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। রবিবারই চাঁদের মাটিতে পা রাখার ১২ দিন পূর্ণ করবে চন্দ্রযান।
ইসরোর প্রজেক্ট ডিরেক্টর পি বীরামুথুভেল বলেন, যেটুকু কাজ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল, সবটাই সঠিকভাবে করেছে রোভার প্রজ্ঞান। চাঁদ থেকে সংগৃহীত তথ্যের সবটাই ল্যান্ডার মারফত পৃথিবীতে এসে পৌঁছেছে। আপাতত রবিবার থেকে সমস্ত যন্ত্রের স্লিপ মোড অন করে দেওয়া হয়েছে। তবে এই মোড কার্যকর হতে বেশ কিছুটা সময় লাগব। মনে করা হচ্ছে রবিবার বিকেলের দিক থেকেই ধীরে ধীরে বিশ্রামে চলে যাবে ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞান।
[আরও পড়ুন: রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া চুঁচুড়ায়! ৪ দিন ধরে বউদির দেহ আগলে বসে কিশোরী ননদ]
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল, চাঁদের মাটিতে ১৪ দিন কাজ করবে চন্দ্রযান। তাহলে কেন ১২দিনের মাথাতেই ঘুমের দেশে যাচ্ছে প্রজ্ঞান? বীরামুথুভেল জানান, “সূর্যোদয়ের শূন্য ডিগ্রি কোণ থেকেই চাঁদে দিন শুরু হয়। কিন্তু আমাদের চন্দ্রযানের পক্ষে অন্তত ৬ ডিগ্রি সূর্যালোক দরকার হয়। তা না হলে ক্যামেরার ছবিগুলিতে বিশাল ছায়া পড়বে, অস্পষ্ট ছবি উঠবে। তাই পুরোপুরি রাত নামা পর্যন্ত প্রজ্ঞান কাজ করতে পারবে না।”
এই বিশ্রামের পর কী ফের স্বমহিমায় ফিরবে ভারতের চন্দ্রযান? ইসরোর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সৌরবিদ্যুৎ সংগ্রহ করে সম্পূর্ণ কর্মক্ষম রয়েছে প্রজ্ঞান। চাঁদে ফের সূর্যোদয় হবে ২২ সেপ্টেম্বর। চাঁদের প্রবল ঠাণ্ডা সহ্য করে যদি ইসরোকে সংকেত পাঠাতে পারে প্রজ্ঞান, তাহলে আবারও নতুন তথ্য জানা যেতে পারে। তা না হলে চাঁদের দক্ষিণ মেরু বিজয়ের প্রতীক হিসাবেই চন্দ্রপৃষ্ঠে থেকে যাবে প্রজ্ঞান।