সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হজরত মহম্মদকে নিয়ে নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্য ঘিরে এবার দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে ক্ষমা চাইলেন বলিউডের জনপ্রিয় সংগীত পরিচালক বিশাল দাদলানি (Vishal Dadlani)। শুক্রবার টুইটে বিশাল দাদলানি লিখলেন, ”আমি ভারতের হিন্দু সম্প্রদায়ের সমস্ত মানুষের হয়ে দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের বলতে চাই। আপনাদের ভালবাসি আমরা, আপনারা আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনাদের দেশভক্তি নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। আপনাদের পরিচয় দেশ ও অন্য ধর্মের মানুষের কাছে ক্ষতিকারক নয়। আমরা সবাই একটাই রাষ্ট্র ও এক পরিবারের অংশ।”
হজরত মহম্মদকে (Prophet Mohammad Row) নিয়ে নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে অশান্তি। তাঁকে ইতিমধ্য়েই দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি। দায়ের করা হয়েছে এফআইআর। এবার তাঁর অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে তাঁকে সমন পাঠাল মুম্বই পুলিশ।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, আগামী ২৫ জুন সকাল ১১টার সময় তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গেই যে টিভি চ্যানেলের বিতর্কসভায় ওই বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র, সেটির ভিডিও ফুটেজও চাওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট চ্যানেল কর্তৃপক্ষের কাছে ফুটেজটি পেলে সেটিও খতিয়ে দেখবে মুম্বই পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ধর্মীয় হিংসা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জের, অভিনেত্রী সাই পল্লবীর নামে দায়ের অভিযোগ ]
উল্লেখ্য, হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে দল থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন বিজেপির (BJP) দুই মুখপাত্র নূপুর শর্মা ও নবীন জিন্দল। বাতিল হয়েছে তাঁদের প্রাথমিক সদস্যপদও। তারপরও ক্ষোভের আঁচ কমেনি। লাগাতার হুমকি পাচ্ছেন নূপুর শর্মা। হুমকি দেওয়া হচ্ছে নবীনকেও।
বিতর্ক শুরু হতেই বিজেপি জানিয়ে দিয়েছিল, “ভারতের ইতিহাসে সবসময়ে সব ধর্ম একসঙ্গে বিকশিত হয়েছে। কোনও ধর্ম বা ধর্মীয় ব্যক্তির প্রতি অসম্মানজনক মন্তব্য করার তীব্র নিন্দা করছে বিজেপি। এই ধরনের কার্যকলাপকে প্রশ্রয় দেয় না বিজেপি।” পরে দল থেকে পুরোপুরি ছেঁটে ফেলা হয় নুপূর-নবীনকে। কিন্তু ক্ষোভের আঁচ এখনও কমেনি। রাজধানী দিল্লি থেকে উত্তরপ্রদেশ, বাংলা থেকে ঝাড়খণ্ড-সহ বিভিন্ন রাজ্যে প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন আন্দোলনকারীরা।
ইতিমধ্যেই বরখাস্ত বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ নিয়েই মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নবীন জিন্দল, সাংবাদিক সাবা নকভি-সহ আরও বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধেও আলাদা করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে এঁদের বিরুদ্ধে।