সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টানা পাঁচবার। ফের রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনে মোট ৮৭.৮ শতাংশ ভোট পড়েছে তাঁর পক্ষে। আগামী ৬ বছর রাশিয়ার (Russia) রাষ্ট্রপ্রধান থাকবেন তিনি। যদি প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ করতে পারেন, তাহলে জোসেফ স্ট্যালিনের নজিরও ভেঙে দেবেন পুতিন।
দুবছরেরও বেশি সময় ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, জেল হেফাজতে থাকাকালীন কট্টর সমালোচক অ্যালেক্সেই নাভালনির মৃত্যু, যুদ্ধের জেরে ধুঁকতে থাকা অর্থনীতি- হাজারো বিরোধিতা সত্ত্বেও পুতিনের ভোটব্যাঙ্কে কোনওটাই ছাপ ফেলতে পারেনি। বরং রাশিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন তিনি। ২০৩০ পর্যন্ত রুশ রাষ্ট্রপ্রধানের কুরসিতে থাকবেন পুতিন। এই মেয়াদ যদি শেষ করতে তাহলে রাশিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে প্রেসিডেন্ট থাকার নজির গড়বেন তিনি। টপকে যাবেন স্ট্যালিনকে।
[আরও পড়ুন: অভিনেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ‘অসত্য’, ‘ফাঁসানোর চেষ্টা’ শিল্পপতি সজ্জন জিন্দালকে, দাবি পুলিশের]
এই নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়েছিলেন পুতিন। তবে তাঁর দাপটে কার্যত হারিয়ে গিয়েছেন অন্যান্যরা। পুতিনের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কমিউনিস্ট পার্টির নিকোলাই খারিতনভ পেয়েছেন মাত্র ৪ শতাংশ ভোট। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছেন ভ্লাদিস্লাভ দাভানকোভ ও লেনয়েড স্লাটস্কি। দুজনের কেউই পুতিন বিরোধী মন্তব্য করেননি কখনও। এমনকি ইউক্রেনে রুশ সেনা অভিযানেরও বিরোধিতা করেননি তাঁরা। তবে নির্বাচনের আগেই বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত ছিলেন, এবার জিতবেনই পুতিন।
পঞ্চমবারের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েই ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের কথা শোনা গেল পুতিনের মুখে। বিজয় ভাষণ দিতে গিয়ে পুতিন বলেন, “আগামী দিনে আমাদের সামনে অনেক কাজ। তবে আমরা লক্ষ্যে স্থির। কেউ ভয় দেখিয়ে দমিয়ে দিতে চেষ্টা করলেও সফল হতে পারবে না। আগেও কেউ আমাদের থামাতে পারেনি, পরেও পারবে না।” পুতিন সাফ জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাশিয়ায় নির্বাচন হয়েছে। আগামী দিনে রুশ সেনাকে আরও শক্তিশালী করে তোলাই তাঁর লক্ষ্য। সেই সঙ্গে ইউক্রেনে রুশ সেনার অভিযানকেই আরও গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাবেন বলেও দাবি করেন পুতিন।