shono
Advertisement

মারিওপোল ‘মুক্ত’, উচ্ছ্বসিত পুতিন, তবে কি অস্ত্র ফেলে দিল ইউক্রেনের ফৌজ?

শহরটিতে লড়াই চালাচ্ছে ইউক্রেনের ৩৬ মেরিন ব্রিগেড।
Posted: 02:09 PM Apr 21, 2022Updated: 02:39 PM Apr 21, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মারিওপোল (Mariupol) শহর ‘মুক্ত’। তার জন্য উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে এমনটাই খবর। ফলে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি বন্দর শহরটিতে আত্মসমর্পণ করল ইউক্রেনের বাহিনী? উঠছে এমন প্রশ্নই। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: মাদক পাচারের অপরাধে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে ফাঁসির সাজা]

জানা গিয়েছে, মারিওপোল শহরের অধিকাংশ এলাকাই এখন রুশ বাহিনীর দখলে। শহরটির আজভস্টাল লৌহ ও ইস্পাত কেন্দ্রে ঘাঁটি গেড়েছিল ইউক্রেনের সেনা। সেখানেই আশ্রয় নিয়েছেন বহু সাধারণ মানুষ। এএফপি সূত্রে খবর, আজভস্টালে সরাসরি সামরিক অভিযান না চালিয়ে সেনাবাহিনীকে জায়গাটি ঘিরে রাখার নির্দেশ  দিয়েছেন পুতিন। রুশ-বাহিনী মনে করছে, খাদ্য, পানীয় জল ও হাতিয়ার ফুরিয়ে এলে আত্মসমর্পণ করবে ইউক্রেনীয় বাহিনী। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মারিওপোলে এখন আজভস্টাল লৌহ ও ইস্পাত কেন্দ্র এবং বন্দর দখলের লড়াই চলছে। যা পুতিনের দাবির উলটো সুর। শহরটিতে লড়াই চালাচ্ছে ইউক্রেনের ৩৬ মেরিন ব্রিগেড। তবে ইউক্রেনের অনেক সৈনিকের গলায় শোনা গিয়েছে আক্ষেপের সুর। তাঁদের অভিযোগ, অস্ত্র ও রশদ পাঠানোর কোনও ব্যবস্থা করছেন না ফৌজের কর্তারা। তাঁরা একপ্রকার ধরেই নিয়েছেন যে মারিওপোল থেকে কেউই জীবিত অবস্থায় ফিরবেন না।

বুধবার ইউক্রেনের (Ukraine) উপ-প্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেশচুক জানিয়েছিলেন, মারিওপোল থেকে মহিলা, শিশু ও বয়স্কদের নিরাপদে বের করে আনতে প্রাথমিক ভাবে একটি মানবিক করিডর তৈরি করা হয়েছে। যুদ্ধের এলাকা ছেড়ে অনেকেই নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গিয়েছেন। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবারও চলবে উদ্ধার অভিযান। ভেরেশচুক জানিয়েছেন, মারিওপোলে আটকে পড়া আমজনতাকে উদ্ধার করে জাপরজাই শহরে নিয়ে যাওয়া হবে। আজ মারিওপোলে নির্ধারিত স্থানে মহিলা, শিশু ও বয়স্কদের জড়ো হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তবে সতর্কবার্তা হিসেবে তিনি বলেন, “পরিস্থিতির চাপে প্রস্তাবিত করিডরে প্রয়োজনে বদল ঘটতে পারে।”

এদিকে, মারিওপোলে শহরবাসীদের হাতে সাদা রিবন পরার নির্দেশ দিয়েছে রুশ সেনা। অন্যথায় সরাসরি গুলিতে লুটিয়ে পড়তে হবে মাটিতে। জানা যাচ্ছে, মারিওপোলের নাগরিকদের সাদা রিবন পরতে বাধ্য করার পিছনে নির্দিষ্ট অভিসন্ধি রয়েছে রুশ সেনার। কেননা সেক্ষেত্রে ইউক্রেনীয় সেনা তাদের দেখে রুশ সেনা ভেবে গুলিয়ে ফেলতে পারে। আর যদি তারা সাধারণ নাগরিকদের দিকে গুলি চালায় তাহলে রুশ সেনার পক্ষেও সহজেই ইউক্রেনীয় সেনাদের চিহ্নিত করতে পারা সম্ভব হবে।

[আরও পড়ুন: আমেরিকার হুঁশিয়ারি উড়িয়ে সলোমন দ্বীপপুঞ্জের সঙ্গে চুক্তি চিনের, ঘনাচ্ছে আশঙ্কার মেঘ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement