সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাতের কবলে পড়ে মৃত্যু হল ১১ পর্বতারোহীর। এখনও খোঁজ মেলেন ১২ জনের। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) মাউন্ট মেরাপিতে। রবিবার থেকেই জীবন্ত আগ্নেয়গিরি হিসাবে পরিচিত মাউন্ট মেরাপিতে শুরু হয়েছে অগ্ন্যুৎপাত। সোমবার পর্যন্তও কালো ধোঁয়ায় ঢেকে রয়েছে গোটা এলাকা। তার মধ্যেই উদ্ধারকাজ চলছে। আগ্নেয়গিরির মধ্য থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে তিনজনকে।
কয়েকদিন আগেই ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল ইন্দোনেশিয়ার বহু এলাকা। তার পরেই রবিবার থেকে শুরু হয়েছে ভয়ানক অগ্ন্যুৎপাত। প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে আগ্নেয়গিরির লাভা। সঙ্গে সঙ্গেই পর্বতারোহী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু লাভা উদ্গীরণের জন্য বারবার কাজ থামিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। তবে ৭৫ জন পর্বতারোহীর অধিকাংশকেই বের করে আনা গিয়েছে বলে খবর।
[আরও পড়ুন: হারানো কেন্দ্র ফিরে পেতে ২১ সাংসদকে বিধানসভার টিকিট, কতটা কাজে লাগল BJP-র কৌশল?]
উদ্ধারকারীদের তরফে আবদুল মালিক জানান, “শনিবার থেকে ৭৫ জন পর্বতারোহী মাউন্ট মেরাপিতে গিয়েছিলেন। তার মধ্যে ১১ জনের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা গিয়েছে ৩ জনকে। তবে এখনও ১২ জনের খোঁজ মেলেনি। বাকি ৫৪ জনকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহত পর্বতারোহীদের অনেকেরই দেহের একাধিক অংশ পুড়ে গিয়েছে। আপাতত তাঁদের চিকিৎসা চলছে বলেই জানা গিয়েছে।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থিত ইন্দোনেশিয়াকে রিং অফ ফায়ারের মধ্যে অন্যতম প্রধান দেশ হিসাবে গণ্য করা হয়। একাধিক জীবন্ত আগ্নেয়গিরি রয়েছে সেদেশে। তার মধ্যে অন্যতম মাউন্ট মেরাপি। মধ্য জাভার সীমানা এলাকায় অবস্থিত এই পর্বতকে ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে জীবন্ত আগ্নেয়গিরি হিসাবে ধরা হয়। ১৯৬৯ সালে এই পর্বতের অগ্ন্যুৎপাতের জেরে ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।