সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে সাক্ষাৎ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির। তিন বছর পূর্ণ হতে চললেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে কিয়েভ। হামলা পালটা হামলা, মৃত্যুমিছিল সবকিছুই অব্যাহত। দীর্ঘ সময় ধরে চলা এই যুদ্ধে অস্ত্রভাণ্ডারে টান পড়েছে ইউক্রেনের। জানা গিয়েছে, দ্রুত ইউরোপীয় ইউনিয়নে সদস্যপদের পাশাপাশি শক্তিশালী এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম নিয়ে মেলোনির সঙ্গে কথা বলেছেন জেলেনস্কি। কিয়েভের জন্য নতুন সামরিক প্যাকেজ ঘোষণা ইটালির সরকার।
বুধবারই ইউক্রেনে ভয়ংকর হামলা চালায় রাশিয়া। জাপোরিঝজিয়ার মতো জনবহুল শহরে আছড়ে পড়ে একের পর এক রুশ বোমা। প্রাণ হারান ১৩ জন। যার কড়া নিন্দা জানান জেলেনস্কি। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রোমে মেলোনির সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। দুই রাষ্ট্রনেতার আলোচনাতেও উঠে আসে এই হামলার প্রসঙ্গ। এনিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জানান, 'ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে সাক্ষাতে আমি আপ্লুত। জাপোরিঝজিয়ায় রাশিয়া যে নৃশংস হামলা চালিয়েছে সেনিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। রাশিয়ার আক্রমণ থেকে আমাদের গ্রাম, শহর ও মানুষজনদের বাঁচাতে আমি ইটালির সহযোগিতা চেয়েছি। ইউক্রেনের এয়ার ডিফেন্সের জন্য আমরা ইটালির সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ।'
বলে রাখা ভালো, আগামী ১০ বছরের জন্য ইউক্রেনের সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে পশ্চিমের ৭টি দেশ। যুদ্ধের শুরু থেকে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। মার্কিন অস্ত্রবলেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে পালটা আক্রমণ শুরু করেছে কিয়েভ। মস্কোর প্রতিটা আক্রমণের কড়া জবাব দিচ্ছে ইউক্রেনীয় ফৌজ। কিন্তু এবার ভাঁড়ারে টান পড়তে শুরু করেছে ওয়াশিংটনের। পাশাপাশি আর কয়েকদিন পরেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে দ্বিতীয়বার শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর তিনি আগেই দাবি করেছেন ক্ষমতায় এলে নাকি একদিনের মধ্যেই দুদেশের যুদ্ধ থামিয়ে দেবেন। ফলে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মতো ট্রাম্প কতটা খোলা হাতে ইউক্রেনকে সাহায্য করবেন সেনিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।
এদিকে, হাতিয়ারের জন্য বিভিন্ন দেশের কাছে দরবার করছেন জেলেনস্কি। রুশ হামলা প্রতিহত করার জন্য ইউক্রেনের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম যে দুর্বল হয়ে পড়েছে তা মেনে নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। তাই প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র শক্তিশালী করতে এবার ইটালির উপর ভরসা রাখছে কিয়েভ। বিশ্লেষকদের মতে, বাইডেন জমানার অবসানের কথা মাথায় রেখে ইটালি-সহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশের সঙ্গে জোট আরও মজবুত করতে চান জেলেনস্কি।