সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাটিতে বসে যাচ্ছে চিনের একের পর এক শহর। এর মধ্যে কয়েকটি শহরে তো সেই গতি রীতিমতো উদ্বেগজনক। ছয়ের মধ্যে প্রতি একটি শহর বছরে ১০ মিলিমিটারেরও বেশি পরিমাণে জমি মাটির ভিতরে তলিয়ে যাচ্ছে। জার্নাল সায়েন্সে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। তালিকায় রয়েছে চিনের রাজধানী বেজিংও!
কিন্তু কেন? গবেষকরা জানাচ্ছেন, মাটির নীচে অতিরিক্ত পরিমাণে জল শোষণ এবং মাটির উপরে উঁচু বাড়ি ও অন্যান্য নির্মাণের সংখ্যা রাতারাতি বাড়তে থাকার ফলেই এই দশা। চিনের শহরাঞ্চলের ৪৫ শতাংশ এলাকার মাটি বছরে ৩ মিলিমিটার করে বসছে। ১৬ শতাংশ জমির ক্ষেত্রে তা বছরে ১০ মিলিমিটার।
[আরও পড়ুন: জয়সলমেরকে টেক্কা কলকাতার, ৪৫ ডিগ্রি পার পানাগড়ে, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সানস্ট্রোকও]
প্রসঙ্গত,ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় মাটিতে বাড়ি বসে যাওয়ার ঘটনা আগেও চিনে ঘটেছে। সাংহাই ও তিয়ানজিনের মতো শহরের ক্ষেত্রে তেমনই প্রমাণ মিলেছিল গত শতকের দুয়ের দশকে। দেখা গিয়েছিল তার আগের শতাব্দীর তুলনায় বছরে ৩ মিটার করে বেশি পরিমাণে মাটি বসে যাচ্ছে। পরবর্তী সময়ে অন্য শহরেও মাটি বসে যাওয়ার ঘটনা নজরে এসেছে। এবার সাম্প্রতিক সময়েও সেই ছবি ফুটে উঠল। ২০১৫ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে সেদেশের যে শহরগুলির জনসংখ্যা ২০ লক্ষেরও বেশি, সেই শহরগুলির ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে দ্রুত মাটিতে বসে যাচ্ছে সেগুলি। মোট ৮২টি শহরের মাটি পরীক্ষা করে দেখার পর এমনটাই দেখা গিয়েছে। সেন্টিনেল-১ উপগ্রহের তোলা ছবি খুঁটিয়ে দেখতেই ধরা পড়েছে কীভাবে শহরাঞ্চলে বড় অংশের মাটি বসে যাচ্ছে দ্রুত।
প্রসঙ্গত, মাটির নীচের জল অতিরিক্ত পরিমাণে শোষণ করার ফলে এমন বিপদের সম্ভাবনা ক্রমেই বাড়ছে। হাউস্টন কিংবা মেক্সিকোর মতো শহরও তালিকায় রয়েছে। ভারতের শহরের মধ্যে দিল্লিতেও এমনটা লক্ষ করা গিয়েছে।