সৈকত মাইতি, তমলুক: ভোটের মরশুমে ক্রমশ বাড়ছে রাজনৈতিক হিংসা। কোথাও দেওয়াল লিখন, পতাকা টাঙানো নিয়ে অশান্তি বাঁধছে। তো কোথাও আবার স্লোগান নিয়ে হাতাহাতি বেঁধে যাচ্ছে। উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্রই প্রায় এক চিত্র। সোমবার রাতে পুলিশের সামনে তমলুকের (Tamluk) বিজেপি প্রার্থী ড. হরেকৃষ্ণ বেরাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। তমলুক জেলা হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন তিনি। এই ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বেলায় তমলুকের হাসপাতাল মোড় অবরোধ করার হুমকি দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।
যদিও তৃণমূলের দাবি, সোমবার রাতে তাঁদের এক কর্মীকে মারধর করেছিল বিজেপি কর্মীরা। সেই ঘটনার অভিযোগ জানাতে তমলুক থানায় গিয়েছিল দলীয় কর্মীরা। সেই সময় বিজেপি প্রার্থী তাঁদের সামনে পড়ে যান। তখনই জনরোষের শিকার হয়েছেন তিনি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনমাফিক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় তৃণমূল নেতা আতেআর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজই তাকে তমলুকের জেলা আদালতে তোলা হবে।
[আরও পড়ুন : চোখ রাঙাচ্ছে ঊর্ধ্বমুখী পারদ, কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যেই বাড়বে গরম ও অস্বস্তি]
স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার রাত দেড়টা নাগাদ বিজেপি প্রার্থী থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গিয়েছিলেন। সেই সময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। থানার সামনেই ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে জেলা হাসপাতালে আইসিইউতে ভরতি করা হয়েছে। এদিন সকালে তাঁকে দেখতে হাসপাতালে আসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। প্রার্থীর উপর হামলার প্রতিবাদে পথ অবরোধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “প্রথম দফার নির্বাচনের পর তৃণমূল বুঝে গিয়েছে তাঁরা হারছে। তাই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে। সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করে মানুষকে ভয় দেখাতে চাইছে তৃণমূল নেতৃত্ব।”
এদিকে এই ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে পালটা তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূলের সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র। তাঁর কথায়, “সোমবার রাতে আমাদের দলের এক কর্মীকে গাছে বেঁধে মারধর করে। সেই অভিযোগ জানাতেই রাতে থানায় গিয়েছিল তৃণমূল কর্মীরা। সেই সময় সামনে বিজেপি প্রার্থী এসে পড়ায় জনরোষের প্রতিফলন ঘটতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “প্রার্থীকে মারধরের ঘটনা নিসন্দেহে দুঃখজনক। আইন আইনের পথেই চলবে। যাঁরা অভিযুক্ত তাঁদের পুলিশ গ্রেপ্তার করবে।”