সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Elections) সকলের নজর ছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা আসনে। কারণ, এই আসনে প্রতিপক্ষ দুই প্রাক্তন আইপিএস, ভারতী ঘোষ ও হুমায়ুন কবীর। তবে ভোটের দিন মোটের উপর শান্তই ছিল এলাকা। যদিও সকাল থেকেই দফায় দফায় বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ (Bharati Ghosh)। অন্যদিকে তৃণমূল প্রার্থী হুমায়ুন কবীরের অভিযোগ, তাঁকেই বুথে ঢুকতে বাধা দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
বৃহস্পতিবার সকালে ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকেই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর প্রকাশ্যে আসে। বিভিন্ন বুথে ঢুকতে বাধাপ্রাপ্ত হন খোদ প্রার্থীরাই। বিভিন্ন জায়গায় ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। ডেবরার অন্তর্গত একটি বুথে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ পেয়ে বিজেপির এক মণ্ডল সভাপতিকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান ভারতী ঘোষ। সেই সময়ই বিজেপি প্রার্থী বহিরাগতকে নিয়ে বুথে ঢুকেছে, এই অভিযোগ তুলে তুমুল বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল।ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়। বুথের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন দুই দলের সদস্যরা। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ময়দানে নামে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় ভারতী ঘোষ ঘনিষ্ঠ ওই বিজেপি নেতাকে। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। ধৃত নেতাকে মুক্তির দাবি জানান তাঁরা। দীর্ঘক্ষণ পর আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি। এরপরই নিজের বিধানসভা এলাকার একাধিক জায়গায় প্রবল ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় ভারতী ঘোষকে।
[আরও পড়ুন: সকাল থেকে চেনা মেজাজে ঘরে বসেই নজরদারি, দুপুরে রেয়াপাড়ার বাড়ি থেকে বেরলেন মমতা]
অন্যদিকে তৃণমূল প্রার্থী হুমায়ুন কবীর প্রশ্ন তুলেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে। অভিযোগ করেছেন, সঙ্গে যাবতীয় প্রয়োজনীয় নথি থাকা সত্ত্বেও তাঁকে বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের দিন প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতী ঘোষকে আক্রমণ করতেও ছাড়েননি তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন তোলেন নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে।