সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষের (Rudranil Ghosh) ফ্লেক্স ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল চেতলায়। তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। আক্রান্ত হন খোদ রুদ্রনীল। অবরুদ্ধ হয়ে যায় গোটা এলাকা। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দীর্ঘক্ষণ চেতলা থানায় বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল ও বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। দীর্ঘক্ষণ পর আয়ত্তে আসে পরিস্থিত। তবে এখনও থমথমে এলাকা।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধেয় ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী (BJP candidate) রুদ্রনীল ঘোষের বেশ কিছু ছেঁড়া ফ্লেক্স নজরে পড়ে দলের কর্মীদের। তাঁরা অভিযোগ করেন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনার নেপথ্যে। ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। রাতে এই ঘটনা নিয়ে অভিযোগ জানানোর জন্য চেতলা থানায় যাচ্ছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। সঙ্গে ছিলেন রুদ্রনীল ঘোষও। অভিযোগ, সেই সময় তাঁদের উপর হামলা করা হয়। এরপরই তৃণমূল-বিজেপি কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। লাগাতার ইটবৃষ্টি হয়। ভাঙচুর চালানো হয় একাধিক গাড়িতে। রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখান দুই দলের কর্মীরাই। রাতেই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে চেতলা থানায় যায় দুই রাজনৈতিক দল। থানার বাইরেও বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
[আরও পড়ুন: শিশির অধিকারীকে প্রাণনাশের হুমকি, অভিযোগ পেয়েই যুবককে গ্রেপ্তার করল পুলিশ]
এই ঘটনার পরই ফেসবুক লাইভে তৃণমূল ও ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধ ক্ষোভ উগরে দেন ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ। অভিযোগ করেন, হার নিশ্চিত জেনেই ফিরহাদ হাকিমের নির্দেশে এই হামলা চালিয়েছে তৃণমূল কর্মীরা। তিনি আরও অভিযোগ বলেন, “প্রায় ২৫০ জন ছেলে মিলে হামলা চালায়। মহিলাদের ধর্ষণের হুমকিও দেওয়া হয়। মহিলারা রুখে না দাঁড়ালে ভয়ংকর কিছু হতে পারত।” পালটা দিয়েছে তৃণমূল। তাঁদের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, বহিরাগত দুষ্কৃতীদের এনে এলাকায় অশান্তি ছড়াচ্ছে বিজেপি। সূত্রের খবর, এই ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের শনাক্ত করার চেষ্টায় পুলিশ।