নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বোমা বাঁধতে গিয়ে গুরুতর জখম হলেন এক ব্যক্তি। সোমবার রাতে বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল নেতার বাড়ির উঠোনে বোমা বাঁধা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। সেই সময়ই বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে এক তৃণমূল নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। যদিও দলীয় নেতৃত্ব বোমা বাঁধার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাঁদের পালটা দাবি, বোমা বাঁধা হচ্ছিল নাকি তৃণমূল নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়া হয়েছে, তা তদন্ত করলেই স্পষ্ট হবে। বিজেপির অবশ্য দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের মতোই এলাকায় সন্ত্রাস করতে বোমা বানাচ্ছিল তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।
ঘটনাস্থল বীরভূমের মল্লারপুর এলাকার বানাশপুর গ্রাম।স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গতকাল রাতে এলাকার সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি আনাই শেখের বাড়িতে বোমা বাঁধা হচ্ছিল। বোমা বাঁধার সময় বিস্ফোরণ ঘটে। তাতেই আরেক তৃণমূল কর্মী জার্মান শেখ গুরুতর জখম হন। প্রথমে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে বর্ধমানের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান মল্লারপুর থানার পুলিশ। তাঁরা পৌঁছনোর আগেই ঘটনাস্থল কার্যত পরিষ্কার করে ফেলা হয়েছিল বলে খবর। তা দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ, বিস্ফোরণে আরও কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু সেই দেহ সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে দাবি বিরোধীদের। এদিকে মল্লারপুর থানার পুলিশ আনাই শেখকে আটক করে।
[আরও পড়ুন ; ভোটের আগে ফের রক্তাক্ত মুর্শিদাবাদ, বোমাবাজিতে মৃত্যু কংগ্রেস কর্মীর]
ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির ময়ূরেশ্বর বি মণ্ডলের সভাপতি সুশান্ত দে বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে ভোট বানচালের চেষ্টা করছিল তৃণমূল। বিস্ফোরণস্থলে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু সেই দেহ লোপাট করে দিয়েছেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তথা ময়ূরেশ্বর বিধানসভার প্রার্থী অভিজিৎ রায়।” অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের ব্লক সভাপতির দাবি, “বিষয়টা আমি শুনেছি। তাঁরা বোমা বাঁধছিল নাকি তাঁদের উপর বোমা মারা হয়েছে বিষয়টি পুলিশকে তদন্ত করে দেখতে বলেছি। তদন্তের পরই বিষয়টি স্পষ্ট হবে।” তবে এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।