shono
Advertisement

‘ওরা খুঁজে পায়নি, ওদের দোষ’, দিনভর লুকোচুরি নিয়ে কমিশনকেই দুষলেন অনুব্রত

কমিশনকে 'পক্ষপাতদুষ্ট' বলে মন্তব্য অনুব্রতর।
Posted: 08:44 PM Apr 28, 2021Updated: 09:07 PM Apr 28, 2021

দীপঙ্কর মণ্ডল: রাত পোহালেই রাজ্যে অষ্টম তথা শেষ দফার নির্বাচন। বীরভূম-সহ মোট চার জেলার ৩৫টি আসনে ভোট। তবে ভোটের ২৪ ঘণ্টা আগে খবরের শিরোনামে রইলেন সেই বীরভূমের জেলা সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। নির্বাচন কমিশনের চোখে ‘ধুলো’ দিয়ে বেলা ১২টা থেকে ঘুরে বেড়ালেন নানুর এবং সেই সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকা। শেষপর্যন্ত অবশ্য তারাপীঠের মন্দিরে তাঁর হদিশ মেলে। কিন্তু এজন্য যে তিনি দায়ী নন, পুরো দোষটাই নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের, বুধবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সেকথাই বললেন ‘কেষ্টদা’।

Advertisement

সন্ধ্যেবেলা সাংবাদিক সম্মেলনে এভাবে ‘উধাও’ হয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে অনুব্রতকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “এই ঘটনায় আমার দোষ কোথায়? এটা তো যাঁরা আমাকে খুঁজে পায়নি, তাঁদের দোষ। আমি কী করব? আমি তারাপীঠে পুজো দিয়ে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম। শেষপর্যন্ত জেলাশাসক ফোন করলেন। আমি বললাম কোথায় আপনার লোক? উনি বললেন, যাচ্ছে যাচ্ছে। একটু দাঁড়ান। আমি যদি চলে যেতাম তাহলে আমাকে ধরতেই পারত না। আমিই অপেক্ষা করলাম।”

[আরও পড়ুন: বেসরকারি ক্ষেত্রে অনিশ্চিত টিকার দ্বিতীয় ডোজ, সংকট মেটাতে দরাজহস্ত রাজ্য]

এরপরই নির্বাচন কমিশনের কাঠগড়ায় তুলে তাঁর মন্তব্য, “বীরভূমে নির্বাচন কমিশনারের নির্দেশে পুলিশ প্রকৃত অপরাধীদের ছেড়ে সাধারণ লোককে, আমাদের সমর্থকদের থানায় ডেকে পাঠাচ্ছে। আমি চাই শান্তিপূর্ণ ভোট হোক। এখানে একজন আসামী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘুরছে অথচ তাকে ধরছে না। আমাকে প্রতিবারই নজরবন্দি করে। তাতে আমি কিছু মনে করি না। কিন্তু এইভাবে সাধারণ লোককে হেনস্তা করছে সেটা খারাপ লাগছে। আর ক’দিনই বা করবে। ২ তারিখের পর তো আর পারবে না। আগামিকাল খেলা হবে। তবে কীভাবে খেলব সেটা বলব না। খেলা মানে তো ঝগড়া, মারামারি নয়। ভালোভাবেও তো খেলা যায়।”

আসলে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে জেলার দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দি করে কমিশন (Election Commission)। বাড়ির বাইরে পাহারায় ছিলেন কমিশনের আধিকারিকরা। বুধবার সকালে আধিকারিকদের সামনেই বোলপুরের নিচুপট্টি এলাকার বাড়ি থেকে বের হন তিনি। গাড়িতে করে রওনা হন গন্তব্যের উদ্দেশে। পিছনেই গাড়িতে ছিলেন কমিশনের আধিকারিকরা ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। আচমকাই একটি রাস্তার বাঁক থেকে উধাও হয়ে যান অনুব্রত। এরপর আর তাঁর গাড়ির হদিশ পাননি কমিশনের প্রতিনিধিরা। কোথায় গেলেন ‘কেষ্ট’দা? সে বিষয়ে দীর্ঘক্ষণ কোনও তথ্য মেলেনি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা হন্যে হয়ে খুঁজতে শুরু করে তৃণমূলের দাপুটে নেতাকে। শেষপর্যন্ত কয়েক ঘণ্টা পর অনুব্রত মণ্ডলের দেখা মেলে তারাপীঠ মন্দিরে। এরপরই নির্বাচন কমিশন তাঁকে একটি নোটিসও পাঠায়। তবে সাংবাদিক সম্মেলনে অনুব্রত পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, যাঁরা দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের দোষ। তাঁর কিছুই করার ছিল না।

[আরও পড়ুন: স্বামীর মৃত্যুর জন্য দায়ী কমিশন, অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগ কাজল সিনহার স্ত্রীর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup ছাঁদনাতলা toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার