নির্মল ধর: “আর ক’দিন বাদেই নির্বাচন। কেন্দ্রের ফ্যাসিবাদ, রাজ্যের স্বৈরাচার দুই বিপদের মাঝে এখন বাংলা। অবিলম্বে এমন একটি সরকার চাই, যে সাধারণ মানুষের জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে কাজ করবে, ফিরিয়ে আনবে রাজ্যে সুস্থ, সামাজিক পরিবেশ। সেই কাজটি করার জন্য আমাদের মনে হয়েছে একমাত্র বিকল্প বাম গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি।” কথাগুলো শোনা গেল টালিগঞ্জের দুই পরিচালক অনীক দত্ত (Anik Dutta) এবং কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের (Kamaleshwar Mukherjee) কণ্ঠে।
সংযুক্ত মোর্চা প্রাথীদের পক্ষে সোমবার দুপুরে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল প্রেস ক্লাবে (Press Club)। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন বাংলা সিনেমা ও নাট্যজগতের একঝাঁক মানুষ, যাঁদের বহু সময়েই দেখা যায় সাংস্কৃতিক ক্রিয়াকর্ম ও বিভিন্ন আন্দোলনের আসরে। সভার শুরুতেই মন্দাক্রান্তা সেন স্বরচিত কবিতায় সংযুক্ত মোর্চার নির্বাচনী ইস্তাহার পড়ে শোনান।
[আরও পড়ুন: ক্ষমতায় এলেই পরিবার পিছু মাসিক মোটা অঙ্কের অর্থ সাহায্য, ইস্তাহারে প্রতিশ্রুতি কংগ্রেসের]
তারপর নাট্যকার চন্দন সেনকে বলতে শোনা যায়, “সংস্কৃতি জগতের মানুষদের রাজনীতিতে আসার বিরোধী আমরা কখনওই নই। একটা সময়ে অনিল চট্টোপাধ্যায়, অনুপ কুমার, বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়রা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু এখন বিস্ময়ের সঙ্গে দেখছি এমন সব সেলিব্রিটিরা নির্বাচনের অজুহাতে ভোটে দাঁড়াতে উদগ্র আগ্রহ দেখাচ্ছেন, যাঁদের কোনও রাজনৈতিক বা সমাজ সচেতনতার পরিচয় কয়েক মাস আগে পর্যন্ত অজানা ছিল। এটাই বিপজ্জনক।”
তাঁর কথার সূত্র ধরে অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র বললেন, “এখন দেখছি আর শুনছি সব সেলিব্রিটিরা নাকি মানুষের সেবা করতে জান কবুল করতে চাইছেন। কিন্তু তাঁরা বোধহয় জানেন না, মানুষের এখন শুধু সেবা নয়, পরিষেবার বেশি দরকার। দরকার চাকরির, সরকারি দল নয়। এই রাজ্যের শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা এখান থেকে পালিয়ে যাচ্ছে, কিচ্ছু করার নেই বলে!” টালিগঞ্জ এলাকার প্রার্থী দেবদূত ঘোষ বললেন, “দুয়ারে দুয়ারে নয়, আমরা ঘরে ঘরে যাচ্ছি, এবং ভালই সাড়া পাচ্ছি।”
[আরও পড়ুন : কাশীপুর-বেলগাছিয়া কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী মিঠুন চক্রবর্তী? তুঙ্গে জল্পনা]
এছাড়াও এদিন উপস্থিত ছিলেন সিনেমা ও নাট্যজগতের বিমল চক্রবর্তী, সীমা মুখোপাধ্যায়, দেবপ্রতিম দাশগুপ্ত, সব্যসাচী চক্রবর্তী, সুপ্রিয় দত্ত, মানসী সিংহ, চন্দন সেন, দেবজ্যোতি মিশ্র, বাদশা মৈত্র। তবে তরুণ মজুমদার, ওয়াসিম কাপুর, পবিত্র সরকার, পরান বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়দের মতো আরও অনেকের নাম প্রচারপত্রে থাকলেও তাঁরা আসতে পারেননি অন্যত্র নির্বাচনের প্রচারের কাজে ব্যস্ত থাকায়।