স্টাফ রিপোর্টার: বর্ষার মুখে মূল্যবৃদ্ধি রুখতে কড়া ব্যবস্থা নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পাশাপাশি খোলাবাজারে দাম নিয়ন্ত্রণ করতে ১৪ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রির সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য৷ বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে টাস্ক ফোর্সের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে৷ নবান্ন সূত্রে খবর, কলকাতার পুরবাজার ও ৩০টি ‘সুফল বাংলা’-র স্টল থেকে আলু বিক্রি করা হবে৷ একইরকমভাবে বিভিন্ন জেলার কৃষি বিপণন দফতরের স্টল থেকেও নায্য দামে আলু মিলবে৷ বর্ষার সময় যাতে সবজির দাম না বাড়ে তার জন্য এদিনের বৈঠকে কৃষি-সহ সংশ্লিষ্ট দফতর এবং পুলিশকে আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ প্রতি ১৫ দিন অন্তর কৃষিজাত দ্রব্যের মূল্যায়নের পাশাপাশি প্রয়োজনে মূল্য নির্ধারণের নির্দেশ দেন তিনি৷ এদিনের বৈঠকে মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বরাষ্ট্রসচিব মলয় দে, কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু, খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ দফতরের মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত, উদ্যান পালন বিভাগের মন্ত্রী আবদুর রেজ্জাক মোল্লা-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন৷
বিধানসভা ভোটের পর এদিনই টাস্ক ফোর্সের প্রথম বৈঠক ছিল৷ নির্বাচনের সময় একধাক্কায় আলুর দাম গিয়েছিল৷ সবজি বা আলুর পাইকারির সঙ্গে খুচরো বাজারের দামের পার্থক্য অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছিল৷ কলকাতা ও শহরতলির খুচরো বাজারগুলিতে ২০-২৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি চলছে৷ কৃষি বিপণন দফতরের আধিকারিকদের অভিমত, বেশি উৎপাদন সত্ত্বেও একশ্রেণির ফাটকা ব্যবসায়ী সক্রিয় হওয়ায় আলুর দাম বেড়েছে৷ ফলে বেকায়দায় পড়েছে মধ্যবিত্ত বাঙালি৷ এই ঘটনায় বিরক্ত মুখ্যমন্ত্রী৷ এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, “গরিব, মধ্যবিত্ত মানুষের স্বার্থে আলুর দাম যাতে কোনওভাবেই আর না বাড়ে৷ তার জন্য সব ব্যবস্থা নিতে হবে৷” সবজির দাম নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী এদিন৷ বাজার ও হিমঘরগুলিতে নজরদারি আরও বাড়ানোর পাশাপাশি কলকাতার পুরবাজারও কৃষি বিপণন দফতরের ‘সুফল বাংলা’র স্টল থেকেও আলু বিক্রি হবে৷ নবান্ন সূত্রে খবর, কৃষি, কৃষি বিপণন, উদ্যানপালন, মৎস্য, খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ ও ক্ষুদ্রসেচ দফতরের সঙ্গে সমন্বয় করে এক, দুই ও তিন বছরের পরিকল্পনা করে রাজ্যকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার উপর এদিন গুরুত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
টম্যাটো ও কাঁচালঙ্কার উৎপাদনও বাড়ানোর জন্য কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে৷ সবজির দাম নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ডিজিটাল রেশন কার্ডে ত্রুটি সংশোধনের জন্য ক্যাম্প করে কাজ শুরুর সিদ্ধান্ত হয়৷ নবান্ন সূত্রে খবর, খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক নিজে উত্তরবঙ্গে গিয়ে এই কাজে তদারকি করবেন৷ নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্যে চিনির উৎপাদন বাড়াতে মহারাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা যদি আগ্রহ দেখান তবে বাড়তি উৎসাহ দেওয়া হবে৷
The post ১৪ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রির সিদ্ধান্ত রাজ্যের appeared first on Sangbad Pratidin.