shono
Advertisement

Breaking News

‘ব্যক্তিগত স্বার্থে দল চালাচ্ছেন’, অধীরের বিরুদ্ধে খাড়গের দরবারে নালিশ প্রদীপ, মান্নানদের

শেষ মুহূর্তে তৃণমূলের সঙ্গে জোট করতে পারেন প্রদেশ সভাপতি, আশঙ্কা অধীর বিরোধীদের।
Posted: 09:57 AM Jun 02, 2023Updated: 09:57 AM Jun 02, 2023

বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে নালিশ জানাতে মল্লিকার্জুন খাড়গের দরবারে প্রদীপ ভট্টাচার্য ও আবদুল মান্নানরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খাড়গের সঙ্গে দেখা করেন প্রদেশ কংগ্রেসের পাঁচ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল। তাঁদের অভিযোগ, একবছর পর লোকসভা ভোট (Lok Sabha)। অথচ নিজের কেন্দ্র বহরমপুর বাদ দিয়ে রাজ্যের সংগঠন নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করছেন না অধীর। সেইসঙ্গে সাগরদিঘিতে এমন একজনকে প্রার্থী করা হয় যিনি জিতলেই তৃণমূলে (TMC) যোগ দেবেন। সব জেনেও প্রদেশ সভাপতি বিষয়টি শীর্ষনেতৃত্বের কাছে চেপে যান বলে খাড়গের কাছে নালিশ জানান তাঁরা।

Advertisement

এখানেই শেষ নয়। তাঁরা যে লোকসভা ভোটে একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থীর দেওয়ার বিরোধী, সেটা হলে আখেরে কংগ্রেসেরই ক্ষতি হবে তাও জানান দলের সর্বভারতীয় সভাপতিকে। এই দু’জন ছাড়াও প্রতিনিধি দলে ছিলেন আরও তিন নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী, সন্তোষ পাঠক ও যুব কংগ্রেস সভাপতি আজাহার মল্লিক।

[আরও পড়ুন: অপারেশন টেবিলে ৯ মহিলা, মদ্যপ অবস্থায় মেঝেয় লুটিয়ে পড়লেন ডাক্তার! তারপর…]

সোমেন মিত্র প্রয়াত হওয়ার পর অধীরকে সভাপতি করতে সোনিয়া গান্ধীকে (Sonia Gandhi) নিজেই আবেদন করে চিঠি দেন মান্নান। তাতে সাড়া দিয়ে অধীরকে (Adhir Ranjan Chowdhury) সভাপতি করেন সোনিয়া। কিন্তু পরবর্তীতে বিরোধী দল ও প্রদেশ চালানো নিয়ে দু’জনের মধ্যে সম্পর্কের চরম অবনতি হয়। মান্নানের পাশে দাঁড়ান সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। গত কয়েকবছর ধরে অধীরের অপসারণ চেয়ে সরব হন তাঁরা। কিন্তু এআইসিসি (AICC) তাঁদের কথায় কর্ণপাত না করায় ক্ষোভে প্লেনারি অধিবেশনে অনুপস্থিত থাকেন মান্নান। যদিও তখন অসুস্থ ছিলেন বলে এআইসিসিকে জানান কংগ্রেসের প্রবীণ এই নেতা। এবার অধীরের বিরুদ্ধে নালিশ জানানোর পাশাপাশি তাঁরা যে বামেদের সঙ্গেই জোট করে ভোটের ময়দানে থাকতে চান, খাড়গেকে তা স্পষ্ট করেন প্রতিনিধিরা।

[আরও পড়ুন: ‘মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে’, মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ‘সুর বদল’ উচ্চমাধ্যমিকে চতুর্থ প্রেরণার]

সূত্রের খবর, সভাপতিকে তাঁরা বোঝান এখন অধীর চৌধুরী তৃণমূলের বিরোধিতা করলেও ভোটের মুখে নিজের স্বার্থের কথা ভেবে রাজ্যের শাসকদলের সঙ্গে জোটে যাওয়ার পক্ষে সওয়াল করতে পারেন। সেক্ষেত্রে নিজের বহরমপুর আসনটি সুরক্ষিত হবে। কিন্তু ক্ষতি হবে কংগ্রেসের। কারণ তৃণমূল কখনই একটি বা দু’টির বেশি আসন কংগ্রেসকে ছাড়তে রাজি হবে না। সেক্ষেত্রে রাজ্যের বাকি অংশ থেকে কংগ্রেস একেবারেই মুছে যাবে বলে দাবি করেন অধীর বিরোধী এই নেতারা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement