shono
Advertisement

অবশেষে সাফল্য, বক্সায় শকুনের প্রজনন কেন্দ্রে শাবকের খোঁজ পেল বনদপ্তর

গত নভেম্বর প্রাকৃতিক বাসায় ডিম পাড়ে দুই শকুন, এমনই দাবি বক্সা প্রকল্পের আধিকারিকরা। জানুয়ারিতে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। এখন তার বয়স মাত্র ১ মাস।
Posted: 04:28 PM Feb 25, 2024Updated: 04:31 PM Feb 25, 2024

রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: অবশেষে সাফল্যের সন্ধান। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের (Buxa Tiger Reserve Forest) অন্তর্গত জঙ্গলে শকুনের প্রাকৃতিক বাসার খোঁজ পেল বনদপ্তর। পাওয়া গেল এক মাস বয়সের শকুনের বাচ্চাও। ‘হোয়াইট ব্যাকড ভালচার’ প্রজাতির শকুন (Vulture) শাবককে নিয়ে উচ্ছ্বসিত পরিবেশ প্রেমীরা। রাজাভাতখাওয়া শকুন প্রজনন কেন্দ্রে জন্ম নেওয়া শকুনকে খোলা আকাশে ছাড়ার পর তারাই প্রাকৃতিক পরিবেশে বাসা তৈরি করে ডিম পেড়ে বাচ্চা ফুটিয়েছে বলে দাবি করেছে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ছবি প্রকাশ করে এই দাবি করেছে বক্সা কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

বক্সার রাজাভাতখাওয়া বনাঞ্চলে শকুন প্রজনন কেন্দ্র। ছবি; বনদপ্তর সূত্রে পাওয়া।

স্যাটেলাইট ট্যাগ লাগিয়ে রাজাভাতখাওয়া শকুন প্রজনন কেন্দ্র থেকে তিন দফায় ৩১ টি হোয়াট ব্যাকড প্রজাতির শকুন খোলা আকাশে ছেড়েছিল বক্সা কর্তৃপক্ষ। এই ৩১ শকুনই ছিল বনদপ্তরের পর্যবেক্ষণের মধ্যে। গত নভেম্বর প্রাকৃতিক বাসায় ডিম পাড়ে দুই শকুন, এমনই দাবি বক্সা প্রকল্পের আধিকারিকরা। জানুয়ারিতে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। এখন তার বয়স মাত্র ১ মাস।

[আরও পড়ুন: লাগাতার হিংসায় জ্বলছে সন্দেশখালি, কী বলছেন তারকা সাংসদ নুসরত?]

২০০৬ সালে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের অন্তর্গত রাজাভাতখাওয়া রেঞ্জে সংরক্ষিত জঙ্গলের ভিতর রাজাভাতখাওয়া শকুন প্রজনন ও সংরক্ষণ কেন্দ্র চালু করা হয়। এখানে কৃত্রিম উপায়ে শকুনের জন্ম ও সংরক্ষণ করা হচ্ছে। পরিবেশে শকুনের সংখ্যা বাড়ানোর জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০০৮-২০০৯ সালে এই শকুন প্রজনন কেন্দ্রে ডিম ফুটে প্রথম শকুনের জন্ম হয়েছিল। রাজ্যের একমাত্র এই শকুন প্রজনন কেন্দ্রে তিন প্রজাতির মোট ১৫০টি শকুন রয়েছে। সেইসব প্রজাতিগুলো হলো স্লেন্ডার বিল্ড, হোয়াইট ব্যাকড ও লং বিল্ড ভালচার।

[আরও পড়ুন: সম্প্রীতি উড়ালপুলের গার্ডরেলে বেপরোয়া বাইকের ধাক্কা, মৃত ২

পরিবেশের (Environment) জন্য শকুন অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পাখি। কিন্তু শকুনের সংখ্যা দিন দিন কমছে। সেই কারণে তা বাড়ানোর জন্য শকুন প্রজনন ও সংরক্ষণ কেন্দ্রগুলিতে শকুন প্রতিপালন করা হচ্ছে বনদপ্তরের উদ্যোগে। স্যাটেলাইট ট্যাগ লাগিয়ে শকুন খোলা পরিবেশে ছাড়লে সেই সব শকুনের উপর নজর রাখতে পারে বনদপ্তর। সেই নজর রেখেই রাজাভাতখাওয়ার শকুন প্রজনন কেন্দ্রে এল সাফল্য।

দেখুন ভিডিও: 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement