shono
Advertisement

রাতারাতি কোটিপতি! মাত্র ৩০ টাকায় লটারির টিকিট কেটে ভাগ্যবদল বাসকর্মীর

লটারি জয়ের পর স্বাভাবিকভাবেই খুশি বাসকর্মী ও তাঁর পরিবারের লোকজন।
Posted: 07:02 PM Dec 21, 2022Updated: 07:02 PM Dec 21, 2022

অভিষেক চৌধুরী, কালনা: ভাগ্যে থাকলে কী না হয়? রাতারাতি কোটিপতিও হওয়া যায়। লটারির টিকিট কেটে এমনভাবেই ফিরে গেল দিন আনা দিন খাওয়া এক বাসকর্মীর ভাগ্য। লটারি জয়ের পর স্বাভাবিকভাবেই খুশি মন্তেশ্বরের বাঘাসন গ্রামের বাসিন্দা বাসকর্মী উৎপল পাল ওরফে বাপি। নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত তিনি।

Advertisement

মন্তেশ্বরের বাঘাসন পঞ্চায়েতের বাঘাসন গ্রামের বাসিন্দা উৎপল পাল। তিনি পেশায় বাসকর্মী। নুন আনতে পান্তা ফুরনোর সংসারে দুই সন্তানের পড়াশোনা এবং বৃদ্ধা মায়ের চিকিৎসার খরচ সামলান। সারাদিন ধরে চাকরি করলেও আয় খুবই কম। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে জোড়াতালি দিয়েই চালিয়ে নিতে হয় সংসারের সবদিকটা। হাতে টাকা না থাকলেও কষ্ট করেই মাঝেমধ্যে কাটতেন লটারির টিকিট। গত সোমবার সকালেও মালডাঙা বসষ্ট্যান্ডে থাকা টিকিট কাউন্টার থেকে ৩০ টাকা দিয়ে ডিয়ার লটারির টিকিট কাটেন।

[আরও পড়ুন: ‘অনেকে দাঙ্গা করার পরিকল্পনা করবে’, গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে আশঙ্কা মুখ্যমন্ত্রীর]

তবে ভাগ্য যে ফিরবে তা আশা করেননি তিনি। ফলপ্রকাশ হওয়ার পরই দেখা যায় প্রথম পুরস্কার হিসাবে তিনি এক কোটি টাকা জিতেছেন। প্রথমে বিশ্বাস করতে পারেননি। তার নিজের টিকিটের সংখ্যা বারবার মিলিয়ে দেখেন। তবে শেষমেশ বুঝতে পারেন সত্যিই লটারি জিতেছেন তিনি।

স্বাভাবিকভাবে এই খবরে বাসকর্মীর পরিবার ও আত্মীয়রা আনন্দে আত্মহারা। উৎপলবাবু বলেন, “বাসকর্মী হিসাবে কাজ করে খুব অল্প টাকা পাই। তা দিয়ে কষ্ট করে সংসার চালাই। অন্যান্য দায়িত্বও সামলাতে হত। প্রথমে কোটি টাকার পুরস্কার পাওয়ার বিশ্বাস করতে পারিনি। তবে টাকা পাওয়ায় খুবই খুশি। নতুন বাড়ি ও ব্যবসা করার ইচ্ছা রয়েছে।”

[আরও পড়ুন: বাংলার অতীতের রহস্যকে ছুঁয়ে দেখার সুযোগ! কপালকুণ্ডলা মন্দির ঘিরে এবার পর্যটন সার্কিট]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement