shono
Advertisement

নেতাইয়ে ‘শহিদ স্মরণে’ দেখা নেই শুভেন্দুর, দিনভর সক্রিয় বীরবাহা

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি সিপিএম হার্মাদদের গুলিতে শহিদদের শ্রদ্ধা জানালেন নেতাই গ্রামের বাসিন্দারাও।
Posted: 09:09 PM Jan 07, 2023Updated: 09:23 PM Jan 07, 2023

সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: গত বছর নেতাইয়ে ‘শহিদ স্মরণে’ গিয়েও লালগড় থেকে ফিরতে হয়েছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। কারণ, নেতাইয়ের মানুষ তাঁকে সেদিন ঢুকতেই দেয়নি। অভিযোগ ছিল, সাম্প্রদায়িক বিজেপির ছোঁয়া শহিদের বেদীতে দেওয়া যাবে না। আর এবছর তো নেতাই গ্রামের আশপাশেও দেখা মিলল না বিরোধী দলনেতার। শুধু তাই নয়, গত বছরের মতো এবারও রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাকে সামনে রেখে ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি সিপিএম হার্মাদদের গুলিতে শহিদদের শ্রদ্ধা জানালেন নেতাই গ্রামের বাসিন্দারা।

Advertisement

শনিবার তৃণমূলের দাবি, মাসখানেক আগে জঙ্গলকন‌্যা বিরবাহা বিরোধী দলনেতাকে যে চ‌্যালেঞ্জ ছুঁড়েছিলেন তার চাপে পড়েই নেতাই দূরের কথা, জঙ্গলমহলের ধারপাশে আসেননি শুভেন্দু। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ তীব্র কটাক্ষ করে বলেছেন, “আদিবাসী নেত্রী মন্ত্রী বিরবাহাকে একবছর আগে জুতার তলায় রাখার দাবি করে শুভেন্দু যে অপমান করেছিলেন, তার জবাব দিতে প্রস্তুত ছিলেন জঙ্গলকন‌্যা। বলেছিলেন, দম থাকলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা ছেড়ে ঝাড়গ্রামে আসুন বিরোধী দলনেতা। আমিও মন্ত্রীর নিরাপত্তা ছেড়ে মানুষের সঙ্গে থাকব। এই চ‌্যালেঞ্জ রাখা দূরের কথা, ভয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরমুখো হননি শুভেন্দু।”

[আরও পড়ুন: চাকলায় বিক্ষোভের মুখে দিলীপ ঘোষ, গাড়ি ঘিরে উঠল ‘জয় বাংলা’,’গো ব্যাক’ স্লোগান]

সকাল সাতটা থেকে নেতাইয়ে উপস্থিত ছিলেন বীরবাহা। দিনভর শহিদ স্মরণের আয়োজনের নেতৃত্বে দিয়েছেন তিনি। বিকেল চারটা পর্ষন্ত শহিদ স্মৃতি রক্ষা কমিটি পক্ষ থেকে শহিদ তর্পণ করেন তৃণমূল নেতৃত্ব থেকে শুরু করে মন্ত্রীরা। মঞ্চ থেকে বাংলায় উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরার পাশাপাশি সিপিএম, বিজেপিকে এক হাত নিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। শহিদ তর্পণ করে পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, “বামফ্রন্টের আমলে গ্রামে যারা বিরোধিতা করতেন তাদের পুকুরে বিষ দিয়ে দেওয়া হত, সামাজিকভাবে বয়কট করে দেওয়া হত। সিপিএমের এই ছিল পলিসি। কিন্তু এখন, মানুষদের মধ্যে যদি ক্ষোভ সৃষ্টি হয় তাহলে তৃণমূল বলছে, সোজা মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে হবে। মানুষ কী পেয়েছে আর কী পায়নি সেটা পৌঁছে দিতে হবে মানুষের কাছে। এটাই তৃণমূল আর সিপিএমের মধ্যে পার্থক্য।’’ অন্যদিকে রাজ্যের রাজ্যের জল সম্পদ অনুসন্ধান ও উন্নয়ন ও পরিবেশ দপ্তরের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া বলেন, ‘‘প্রত্যেক বুথে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে জিজ্ঞেস করুন রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা ঠিক মতো পাচ্ছেন কি না। কেউ যেন বাদ না যায় সেটা দেখতে হবে।’’

এদিনেই শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,বনদফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা, বিনপুরের বিধায়ক দেবনাথ হাঁসদা, গোপীবল্লভপুর বিধানসভার বিধায়ক চিকিৎসক খগেন্দ্রনাথ মাহাতো, ঝাড়গ্রামের পুরপ্রধান কবিতা ঘোষ, জেলা পরিষদের সভাধিপতি মাধবী বিশ্বাস, মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাত বিধায়ক দিনেন রায়, অজিত মাইতি প্রমুখ। এদিন শহিদ তর্পণের পরে কোনও বক্তব‌্য না রাখলেও পরে মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা বলেন, ‘‘ঝাড়গ্রামের প্রতিটি গ্রামের মতোই নেতাই আমার গ্রাম। যতদিন দেহে প্রাণ থাকবে, নেতাই গ্রামের পাশে আমি থাকব। আমি লোক দেখানো তর্পণে বিশ্বাসী নই।’’

[আরও পড়ুন: পাচারকারীকে ধরতে গিয়ে মার খেল BSF জওয়ানরা, বাগদার চৌকিতে দুষ্কৃতী তাণ্ডব-ভাঙচুর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup অলিম্পিক`২৪ toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার