বাবুল হক, মালদহ: মন্ত্রী কি শুধুই দপ্তরি কাজ সামলান? আর ফাইলপত্রে সইসাবুদ করেই দায় সারেন? সাধারণভাবে এই প্রশ্নের উত্তর ‘হ্যাঁ’ হলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) আমলে মন্ত্রীদের কাজ আর শুধুই দপ্তরের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও যেমন নানা জায়গায় ছোটাছুটি করে কাজ করেন, তেমনই অন্যান্য মন্ত্রীরাও এই কাজে শামিল হন। এর মধ্যে অন্যতম রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। আগেও তিনি CNG চালিত বাস চালু করতে গিয়ে নিজেই বাস চালিয়েছিলেন। এবার NBSTC’র নতুন বাস ডিপো উদ্বোধন করতে গিয়ে ফের তাঁকে সেই ভূমিকায় দেখা গেল। আর এবার তাঁর সঙ্গী মালদহের (Maldah)চাঁচলের তৃণমূল বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ। তিনি ছিলেন কন্ডাক্টর।
রবিবার চাঁচলে (Chanchal) এক নতুন বাস ডিপোর উদ্বোধনে গিয়েছিলেন পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এখান থেকে দূরপাল্লার বাস ছাড়বে আগামী সপ্তাহ থেকে। কলকাতা ও শিলিগুড়ির বাস এবার মিলবে চাঁচল থেকেই। আগে এখানে এ ধরনের কোনও বাস ডিপো ছিল না। এলাকাবাসীর সুবিধার্থে নিজে উদ্যোগ নিয়ে এই ডিপোটি তৈরি করেছেন চাঁচলের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ। কিন্তু স্রেফ ডিপো তৈরি করেই থেমে থাকেননি তিনি। পরিবহণ মন্ত্রীকে দিয়ে তার উদ্বোধনের সময় নিজেও বাস পরিষেবা চালুতে অন্য ভূমিকা পালন করলেন।
[আরও পড়ুন: স্মৃতি হারিয়ে বহুবছর ঘরছাড়া, বিহারের দুই যুবককে পরিবারের কাছে ফেরাল হ্যাম রেডিও]
এদিন দেখা গেল, চাঁচলের বাস ডিপো থেকে একটি বাস নিজে চালিয়ে ডিপোর বাইরে বের করে আনলেন পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সঙ্গে কন্ডাক্টরের ভূমিকায় বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ। রাজ্যের মন্ত্রী ও বিধায়ককে এই ভূমিকায় দেখে উচ্ছ্বসিত বাসিন্দারা। ২ কোটি টাকা ব্যয়ে এই বাস ডিপোটি তৈরি হয়েছে। এদিন বাস চালিয়ে এর উদ্বোধন করেন ফিরহাদ হাকিম। সঙ্গে ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনও।
[আরও পড়ুন: জ্বালানির ভ্যাট কমানোর দাবিতে মিছিলে বাধা, পুলিশ-বিজেপি ধস্তাধস্তি, রণক্ষেত্র বারুইপুর]
এই প্রথম নয়। সেপ্টেম্বর মাসে পেট্রোপণ্যের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কলকাতা (Kolkata) শহরে চালু হয়েছিল পরিবেশবান্ধব (Eco friendly) বাস। ডিজেলচালিত বাস প্রথমবার সিএনজিতে পথচলা শুরু করে শহরে। ওইদিন পরিবহণ ভবনে প্রথম সিএনজি চালিত বাসটির উদ্বোধন করে নিজেই তা চালিয়ে নিয়ে যান কলকাতা পুরসভার মুখ্যপ্রশাসক তথা পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেবারও শহরের মন্ত্রীকে এই ভূমিকায় দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠেছিলেন পরিবহণ দপ্তরের কর্মীরা। এই দৃশ্য তাঁদের বাড়তি অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল। এবার সেই একই দৃশ্যের সাক্ষী রইলেন চাঁচলবাসী।