সুদীপ রায়চৌধুরী: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) মনোনয়ন পর্ব শুরু হতেই তুমুল অশান্তি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। মুর্শিদাবাদের (Murder) খড়গ্রামে ‘খুন’ হয়েছেন কংগ্রেস কর্মী। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় হামলা চলছে নানা রাজনৈতিক দলের কর্মী, প্রার্থীদের উপর। এসব নিয়ে নালিশ জানাতে শনিবার দুপুর নাগাদ রাজভবনে গিয়েছিল বিজেপি (BJP)রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল। তাঁদের সঙ্গে কথা বলার পরই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে (Rajib Sinha) রাজভবনে তলব করা হয়েছে। তলব পেয়ে তিনি সঙ্গে সঙ্গে রাজভবনে পৌঁছে যান বলে খবর। আলোচনা হতে পারে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে।
শুক্রবার থেকে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব (Nomination) শুরু হয়েছে। চলবে ১৫ জুন পর্যন্ত। এত কম সময়ের মধ্যে মনোনয়ন পেশ সমস্যাজনক বলে বিরোধীরা সুর চড়িয়েছিলেন। কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta HC) সময়সীমা বাডা়নোর আবেদন নিয়ে মামলা করে কংগ্রেস, বিজেপি। আদালতেরও পরামর্শ, যদি এই সময়সীমা বাড়ানো যায়, তা ভেবে দেখুক কমিশন। যদিও কমিশন সাফ জানিয়ে দেয়, মনোনয়নের সময়সীমায় কোনও বদল হচ্ছে না।
[আরও পড়ুন: আবারও সভা-মিছিলে ভিড়, হারানো ভোট কি ফেরাতে পারবে সিপিএম?]
এরপরই মনোনয়নের জন্য ডিসিআর তোলা নিয়ে আরও হুড়োহুড়ি পড়ে যায় প্রার্থীদের মধ্যে। একে অপরের উপর হামলার ঘটনা ঘটতে থাকে। প্রথম দিনের এই বিশৃঙ্খলা থেকে রাতে মুর্শিদাবাদে এক কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু হয় গুলিতে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি আরও জোরদার হয় বিরোধী শিবিরে। শনিবার দুপুর নাগাদ এসব নিয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয় রাজ্য বিজেপি। বেশ খানিকক্ষণ তাঁরা কথাবার্তা বলেন রাজভবনে গিয়ে। সেখান থেকে বেরিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান, ভোটে নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যপাল। প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলবেন।
[আরও পড়ুন: বিচারপতি মান্থার বিরুদ্ধে পোস্টার: আদালতে ক্ষমা চেয়ে মুক্তি, সতর্ক করা হল অভিযুক্তদের]
আর তাঁরা রাজভবন থেকে বেরনোর পরই আলোচনার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে ডেকে পাঠান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তলব পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে পৌঁছে যান কমিশনার। তবে কমিশন সূত্রে খবর, ধারাবাহিক অশান্তির খবর পেয়ে তিনি প্রত্যেক জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের কড়া নির্দেশ দিয়েছেন, নিজ নিজ এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। পাশাপাশি, যেসব এলাকায় অশান্তি বেশি হচ্ছে, সেখানকার জেলাশাসকদের থেকে রিপোর্টও তলব করেছেন।