সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শোকজের জবাব সন্তোষজনক নয়। সেই কারণে ২৪ ঘণ্টার জন্য সায়ন্তন বসু ও সুজাতা মণ্ডল খাঁর প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল কমিশনের। ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেত্রী ও বিজেপি নেতার কাছে পৌঁছে গিয়েছে নোটিস।
৬ এপ্রিল অর্থাৎ তৃতীয় দফায় ভোট (West Bengal Assembly Elections) ছিল হুগলির আরামবাগ আসনে। ওইদিনই একটি সংবাদমাধ্যমে সুজাতা মণ্ডল বলেন, “এখানকার এসসি-এসটি ভোটাররা হচ্ছে স্বভাব ভিখিরি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ওদের জন্য এত কিছু করেছে। তা সত্ত্বেও সামান্য কটা টাকার জন্য ওরা বিজেপির কাছে বিক্রি হয়ে গেল।” এই মন্তব্যের জেরেই ১৬ এপ্রিল বিজেপি সাংসদের স্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী সুজাতা মণ্ডল খাঁকে শোকজ করে কমিশন। অন্যদিকে শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে সায়ন্তন বসু বলেন, ”আমি সায়ন্তন বসু বলে যাচ্ছি। বেশি খেলা খেলতে যেও না, শীতলকুচির খেলা খেলে দেব।” এই মন্তব্যের জেরে তাঁকেও শোকজ করেছিল কমিশন।
[আরও পড়ুন: ঠাকুরবাড়ির সবাই পদ পাবে কেন? গাইঘাটার সভা থেকে পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে সরব মমতা]
জানা গিয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই শোকজের জবাব দিয়েছেন দুই দলের দুই নেতা। কিন্তু তাঁদের উত্তরে খুশি নয় কমিশন। সেই কারণেই ২৪ ঘণ্টার জন্য সায়ন্তন বসু ও সুজাতা মণ্ডল খাঁর (Sujata Mandal Khan) প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল কমিশন। আজ অর্থাৎ রবিবার সন্ধে ৭ টা থেকে সোমবার ৭ টা পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার করতে পারবেন না তাঁরা। উল্লেখ্য, এর আগে সংখ্যালঘু মন্তব্যের জেরে ২৪ ঘণ্টার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। প্রতিবাদে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসেছিলেন তিনি। এছাড়াও রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষকেও ২৪ ঘণ্টার জন্য ব্যান করা হয়েছিল। একই শাস্তির মুখে পড়েছিলেন হাবরার বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহা। যদিও তাঁর ক্ষেত্রে সময়সীমা ছিল ৪৮ ঘণ্টা।