শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: ভোটগ্রহণের প্রশিক্ষণ শিবির এড়িয়েছেন। আপত্তি ছিল ডিউটিতে যেতে। সেই কারণেই রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের (Raiganj University) এক অধ্যাপক-সহ ১৩জন ভোটকর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর করল নির্বাচন কমিশন। বাংলার নির্বাচনের ক্ষেত্রে এই ঘটনা নজিরবিহীন।
বুধবার উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur) জেলা নির্বাচন দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে, বিধানসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Elections) ভোটগ্রহণের প্রশিক্ষণ বিভিন্ন পর্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেসব ভোট কর্মী সময়মত প্রশিক্ষণে উপস্থিত হতে পারেননি, তাঁদের পরবর্তীতে বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়, কিন্তু সেখানেও একাধিক ভোটকর্মী হাজির ছিলেন না। নোটিস পাঠিয়েও কোন জবাব না মেলায়, তাঁদের শোকজ করা হয়। কিন্তু শোকজের জবাবও সন্তোষজনক ছিল না। সেই কারণেই ভোটের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অনুপস্থিত থাকায় ১৩ জন ভোটকর্মীর বিরুদ্ধে রিপ্রেজেনটেটিভ অফ পাবলিক আক্ট-সহ তিনটি ধারায় রায়গঞ্জ থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় এবং কালিয়াগঞ্জ কলেজের এক অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর-সহ জেলার বিভিন্ন স্কুলের ১০জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সেইসঙ্গে একই অভিযোগ করা হয়েছে এক ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে।
[আরও পড়ুন: নতুন করে উত্তপ্ত বরানগর, তৃণমূল কর্মীর শ্লীলতাহানি-মারধর! থানার বাইরে বিক্ষোভ]
এবারের নির্বাচনে জেলার ৯টি বিধানসভা কেন্দ্রে ৩ হাজার ৭৬টি বুথ তৈরি হয়েছে। এইসব ভোট কেন্দ্রের ভোট নেওয়ার জন্য প্রায় ১৫ হাজারের বেশি ভোট কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ২৫ শতাংশ ভোটকর্মীকে অতিরিক্ত রাখা হয়েছে। এদিন এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলাশাসক অলঙ্কৃতা পাণ্ডে বলেন, “শিক্ষক এবং তাঁদের ইঞ্জিনিয়ার সহ ১৩ জন ভোটকর্মীর বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ থানায় এফআইআর (FIR) দায়ের করা হয়েছে।” উল্লেখ্য, ভোটে অশান্তির আশঙ্কা করে অনেকেই ডিউটি এড়ানোর চেষ্টা করেন। এই ১৩ জন শিক্ষক ভোটের ডিউটি থেকে অব্যাহতি পেতে মেডিক্যাল সার্টিফিকেটও জমা দিয়েছিলেন। যদিও তারা নিয়মিত ক্লাস করাচ্ছিলেন।