বাবুল হক ও রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: টিকিট পেয়েও তৃণমূল ছেড়েছিলেন হবিবপুরের প্রার্থী সরলা মুর্মু। যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। স্বাভাবিকভাবেই মনে করা হচ্ছিল, পছন্দের আসন থেকেই হয়তো বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পাবেন সরলা। কিন্তু আদৌ তাঁকে দল প্রার্থী করবে কি না, তা নিয়েই সংশয়। ফলে সরলার দলবদল আদৌ ফলপ্রসূ হবে কি না, তা এখনও প্রশ্নচিহ্নের মুখে।
জানা গিয়েছে, সরলাকে প্রার্থী করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। প্রথমত, গত সোমবার দলবদল করেছেন তিনি। কিন্তু বিজেপির প্রার্থী তালিকা তৈরি হয়েছে বেশ কয়েকদিন আগেই। ইতিমধ্যেই সেই তালিকা পাঠানো হয়েছে দিল্লিতে। প্রথম দু’দফা বাদে বাকিটা প্রকাশিত না হলেও মনে করা হচ্ছে গোটা তালিকাই প্রস্তুত। ফলে সেখানে নতুন নাম সংযোজন করতে হলে জটিলতা তৈরি হবে। দ্বিতীয়ত, সরলা মুর্মুর পছন্দের আসন মালদহ তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত। কিন্তু সরলা তফসিলি উপজাতির। ফলে দল সম্মতি দিলেও ওই আসনে সরলার পক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সম্ভব কি না, সে বিষয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। ফলে মনে করা হচ্ছে, তড়িঘড়ি শিবির বদল করেও লাভ হল না সরলার। যদিও সরলার দাবি, প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছে নেই তাঁর। দলে অনেক সমস্যা ছিল, সেই কারণেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: দলত্যাগের পর ছাড়লেন অন্যান্য পদও, শিলিগুড়িতে নির্দল প্রার্থী হিসেবেই লড়ছেন নান্টু পাল]
গত শুক্রবার ২৯১ টি বিধানসভা আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছেন তৃণমল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। প্রার্থীতালিকায় নাম ছিল সরলা মুর্মুর। তা সত্ত্বেও দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ওই তৃণমূল নেত্রীর দাবি, বহুবার দলকে জানিয়েছিলেন, মালদহের প্রার্থী হতে চান তিনি। কিন্তু দল তাতে কর্ণপাত করেনি। হবিবপুরের প্রার্থী করা হয়েছিল তাঁকে। সেই কারণেই দলত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন। তড়িঘড়ি কলকাতা এসে যোগ দেন গেরুয়া শিবিরে।