ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: জাতিদাঙ্গায় প্রায় তিনমাস ধরে তপ্ত মণিপুর (Manipur)। সেখানকার একাধিক ছবি, ভিডিও নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। জাতীয় রাজনীতির বড় ইস্যু হয়ে উঠেছে উত্তর-পূর্বের রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতি। এনিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলও (TMC)। ইতিমধ্যে তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের একটি দল সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি দেখে এসেছে। চূড়াচাঁদপুরের শিবিরগুলিতে গিয়ে আশ্রিতদের সঙ্গে কথাও বলেছে। এবার এনিয়ে রাজ্য বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব আনতে চলেছে শাসকদল। আগামী ২৪ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে বিধানসভার বাদল অধিবেশন (West Bengal Assembly)। তারপরই নিন্দা প্রস্তাব আনার পরিকল্পনা তৃণমূল বিধায়কদের। মুখ্যমন্ত্রীর সবুজ সংকেত পেলেই তা আনা হবে বলে সূত্রের খবর।
মণিপুর নিয়ে গোড়া থেকেই সরব বাংলার শাসকদল। এর আগে তৃণমূল প্রতিনিধিদল সেখানে গিয়ে অত্যাচারিতদের পাশে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা করলেও অনুমতি না মেলায় যাওয়া হয়নি। যদিও গত সপ্তাহে ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল মণিপুরে যায়। সেখান থেকে ফিরে মুখ্যমন্ত্রীকে সমস্ত জানান ডেরেক ও ব্রায়েন, দোলা সেন, কাকলি ঘোষ দস্তিদাররা। একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে মণিপুরের নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
[আরও পড়ুন: নেতাজির স্বপ্নাদেশেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা! পুলিশি জেরায় চাঞ্চল্যকর দাবি ধৃত নূর আমিনের]
বিষয়টি নিয়ে সকলেই উদ্বিগ্ন। আসন্ন বিধানসভা অধিবেশনে মণিপুর ইস্যুতে নিন্দাপ্রস্তাব আনতে চলেছে শাসকদল। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন, মঙ্গলবার বিএ (বিজনেস অ্যাডভাইজরি) কমিটির বৈঠকে এনিয়ে আলোচনা হবে। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদনও চাইবেন তৃণমূল বিধায়করা। তারপরই নিন্দাপ্রস্তাব নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। এদিকে, মণিপুরের বিতর্কিত ভিডিওর প্রতিবাদে কলকাতায় আজ মিছিল করে বাম ছাত্র-যুব সংগঠন।