বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: রাজ্যের চার কেন্দ্রের আসন্ন উপনির্বাচনের জন্য প্রার্থী ঘোষণা করে দিল বামেরা। কংগ্রেসের (Congress) সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করে একতরফা চার কেন্দ্রেই নিজেদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিয়েছে বামফ্রন্ট। যার অর্থ, কার্যত সরকারিভাবে বাম-কংগ্রেস জোটে ছেদ পড়ে গেল।
আগামী ৩০ অক্টোবর রাজ্যের চার কেন্দ্রের উপনির্বাচন (West Bengal By-Election)। এই চার কেন্দ্রের জন্য শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) ইতিমধ্যেই প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে। সোমবার তালিকা প্রকাশ করল বামেরা। প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে পরীক্ষিত মুখকেই গুরুত্ব দিয়েছেন বিমান বসুরা (Biman Bose)। চার কেন্দ্রের মধ্যে দুই কেন্দ্রে প্রার্থী দেবে সিপিএম। ফরওয়ার্ড ব্লক এবং আরএসপি (RSP) প্রার্থী দেবে একটি করে কেন্দ্রে।
[আরও পড়ুন: নারদ মামলায় হাই কোর্টে ধাক্কা সিবিআইয়ের, স্পিকারের কাছে হাজিরা দিতে হবে তদন্তকারীদের]
দিনহাটা কেন্দ্র থেকে ফরওয়ার্ড ব্লকের টিকিটে লড়বেন আব্দুর রউফ। তিনি ফরওয়ার্ড ব্লকের পুরনো সৈনিক। একটা সময় বিধায়কও ছিলেন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও দিনহাটায় প্রার্থী ছিলেন রাউফ। দক্ষিণ ২৪ পরগণার গোসাবা কেন্দ্রে আরএসপির তরফে প্রার্থী করা হয়েছে অনিল চন্দ্র মণ্ডলকে। নদিয়ার শান্তিপুরে সিপিএমের টিকিটে লড়বেন সৌমেন মাহাতো। দীর্ঘদিন দলীয় সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত সৌমেন এলাকায় সমাজসেবী হিসাবে পরিচিত। এই শান্তিপুর কেন্দ্রে ২০১৬ সাল থেকে লড়ে আসছে কংগ্রেস প্রার্থীরা। এবার কংগ্রেসকে না জানিয়েই প্রার্থী ঘোষণা করল বামফ্রন্ট। খড়দহে ২০২১ বিধানসভার প্রার্থী দেবজ্যোতি দাসকেই ফের টিকিট দেওয়া হল। শিক্ষিত এবং মার্জিত মুখ হিসাবেই ফের অগ্রাধিকার পেলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: WB Bypolls: চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণার আগেই নির্বাচনী কমিটি গড়ল বিজেপি]
সিপিএম না চাইলেও উপনির্বাচনে জোট করে লড়াইয়ের পক্ষে কংগ্রেস। তাই কথা বলতে চেয়ে আলিমুদ্দিনে বার্তা পাঠাল বিধান ভবন। কারণ শান্তিপুর ছাড়া বাকি তিন কেন্দ্রে প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছেনা কংগ্রেস। সংগঠন নামমাত্র। তাই গোসাবা, খড়দহ ও দিনহাটায় প্রার্থী না দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাত শিবির। তবে শান্তিপুরে সিপিএম যাতে প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেয় আলিমুদ্দিনের কাছে আবেদন জানাবে বিধান ভবন। একান্তই সিপিএম প্রার্থী প্রত্যাহার না করলে সে ক্ষেত্রে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই হবে বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর।
এদিকে, সিপিএমের যুব সংগঠনে রদবদলের কথাও সোমবারই সরকারিভাবে ঘোষণা করা হল। DYFI-এর রাজ্য সম্পাদক হলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তিনি আগে সংগঠনের সভাপতি ছিলেন। নবনির্বাচিত সভাপতি হলেন ধ্রুবজ্যোতি সাহা। সম্পাদক পদ থেকে সরে যেতে হল সায়নদীপ মিত্রকে।