স্টাফ রিপোর্টার: আদর করে মুখ্যমন্ত্রী নাম রেখেছিলেন ‘ইঙ্গিত’ (Swasthya Ingit)। আর সেই ‘ইঙ্গিত’কে পরম ‘মমতায়’ জড়িয়ে ধরেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্মীরা। মাত্র দশদিনের মধ্যে রাজ্যের প্রায় ১১ হাজার গ্রামবাসী ‘ইঙ্গিত’-টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে চিকিৎসার সুযোগ পেয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন। আরও বড় বিষয় হল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের থেকে পরামর্শ পেয়ে রোগমুক্তির তালিকায় গ্রামের মহিলারাই বেশি। অন্তত ৬৯ শতাংশ গ্রামের মহিলা বিভিন্ন রোগ থেকে সুস্থ হয়েছেন। মূলত, গ্রামের নাগরিকদের নিখরচায় বাড়ির কাছের স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা পেতেই এই উদ্যোগ শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২ আগস্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আনুষ্ঠানিকভাবে পশ্চিমবঙ্গের গ্রামবাসীদের জন্য চালু করেন টেলিমেডিসিন প্রকল্প ‘ইঙ্গিত’। মূল উদ্দেশ্য একটাই, গ্রামের মানুষ যাতে নিখরচায় রোগ সারাতে বিশেষজ্ঞ ও খ্যাতনামা চিকিৎসকদের থেকে পরামর্শ পায়। করোনা আবহে টেলিমেডিসিন আগেই চালু ছিল। রাজ্যের এক শীর্ষ স্বাস্থ্যকর্তার কথায়, “সেই ব্যবস্থাকে আরও ঢেলে সাজানো হয়েছে। বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা যুক্ত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশিত টেলিমেডিসিন প্রকল্পে।”
[আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে জালিয়াতি রুখতে মেনে চলুন এই নিয়মগুলি, জানাল নবান্ন]
রাজ্যে ২ হাজার ৩৬২টি এমন টেলিমেডিসিন প্রকল্প চালু হয়েছে। এর মধ্যে ৯৪৫টি হাব। এইসব হাবের সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। ভিডিও কল করে রোগীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলছেন চিকিৎসকরা। রোগ ও সমস্যা শুনে হোয়াটসঅ্যাপ করে পাঠিয়ে দিচ্ছেন লিখিত প্রেসক্রিপশন। আর রোগীর সামনে বসা স্বাস্থ্যকর্মী বা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্স সেই প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন।
[আরও পড়ুন: Independence Day: ‘দেশটা সবার নিজের’, নিজের লেখা গানে ঐক্যের বার্তা Mamata’র]
গ্রামাঞ্চলে এই প্রকল্পে ব্যাপক সাড়া মিলেছে। তবে পুরুষদের তুলনায় টেলিমেডিসিন প্রকল্পে মহিলাদের আগ্রহ বেশি। প্রায় ৬৯ শতাংশ মহিলা এই প্রকল্পের আওতায় এসেছেন। এমনকী ০.১ শতাংশ তৃতীয় লিঙ্গের নাগরিকও ‘ইঙ্গিত’ টেলিমেডিসিন প্রকল্পের আওতায় এসে সুস্থ হয়েছেন। রোগীপিছু গড়ে ৪ মিনিটের থেকে কিছু বেশি সময় নিয়ে চিকিৎসা করা হয়।