দীপালি সেন: জাতীয় শিক্ষানীতি (NEP 2020) গ্রহণযোগ্য কি না, তা নিয়ে বিস্তর তর্ক-বিতর্কের মাঝে শিক্ষাবিদদের আলোচনাক্রমে রাজ্যের নয়া শিক্ষানীতি প্রকাশিত হল। তাতে জাতীয় শিক্ষানীতির কয়েকটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। বাকিটা সম্পূর্ণতই রাজ্যে শিক্ষার পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে তৈরি হয়েছে। তাতে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা এবং পরীক্ষা ব্যবস্থায় বেশ কিছু রদবদলের উল্লেখ রয়েছে। বিকাশ ভবনের (Bikash Bhaban) তরফে ১৭৮ পাতার রাজ্য শিক্ষানীতি ২০২৩-এর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
ভাষাশিক্ষার ক্ষেত্রে ত্রিভাষা নীতি গ্রহণ করা হয়েছে রাজ্যের শিক্ষানীতিতে। এলাকা ভিত্তিতে স্থির হবে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ভাষা। বাংলা ছাড়াও উর্দু, সাঁওতালি, রাজবংশী, নেপালির মতো ভাষাকে প্রথম ভাষা হিসেবে মান্যতা দেওয়া হবে। বাংলা ও ইংরাজি বাধ্যতামূলক। এছাড়া তৃতীয় ভাষা (Third Language) হিসেবে হিন্দি, সংস্কৃতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া দার্জিলিং, কালিম্পংয়ের মতো জেলাগুলিতে প্রথম ভাষা হিসেবে যদি কেউ নেপালি (Nepali) পড়ে, তাহলে তৃতীয় ভাষা হিসেবে অন্তত বাংলা পড়তেই হবে। আসলে মাতৃভাষা হিসেবে বাংলাকে আরও গুরুত্ব দিতে চাইছে রাজ্য সরকার।
[আরও পড়ুন: ‘পরিচালকের হাত কেটে ফেলা হোক!’, ‘জওয়ান’ দেখে বিস্ফোরক মন্তব্য শাহরুখ ভক্তের]
রাজ্যের নয়া শিক্ষানীতি (State Education Policy 2023) অনুযায়ী, প্রাথমিকে ভরতির আগে এক বছর প্রাক-প্রাথমিকে পড়াশোনা করতে হয়। তারপর প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণি। এরপর এখনকার মতোই পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করবে পড়ুয়ারা। অষ্টম শ্রেণি থেকে সেমিস্টার (Semester) পদ্ধতিতে পরীক্ষা হতে পারে। নবম-দশম শ্রেণির শেষে হবে মাধ্যমিক পরীক্ষা। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে সেমেস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিতে আগ্রহী উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে যে সব পড়ুয়া একাদশ শ্রেণিতে ভরতি হবে, তাদের জন্য এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। সেক্ষেত্রে সেমেস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষার প্রথম ফল প্রকাশিত হবে ২০২৬ সালে।
[আরও পড়ুন: ভারতের উদ্যোগে জি-২০-র স্থায়ী সদস্যপদ পেল আফ্রিকান ইউনিয়ন]
শুধু স্কুল বা কলেজে পড়াশোনা ব্যবস্থাই নয়, নয়া শিক্ষানীতিতে শিক্ষাদান নিয়েও বেশ কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। গ্রামশিক্ষায় জোর দিতে গ্রামে শিক্ষকতা করার কথা বলা হয়েছে। তা নিয়োগের সময়ই শিক্ষককে জানাতে হবে।