অভিরূপ দাস: বাংলা বলতে পারেন না। অল্পস্বল্প বোঝেন। এমন হিন্দি অথবা উর্দুভাষীকে জোর করে বাংলায় কথা বলানো অপরাধ। বিশ্ব সংখ্যালঘু অধিকার দিবসের প্রাক্কালে এমনটাই জানালো পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু কমিশন। আগামী ১৮ ডিসেম্বর রাজ্যে পালিত হতে চলেছে ওয়র্ল্ড মাইনরিটিজ রাইটস ডে। খাদ্যভবনে পালিত হবে এই অনুষ্ঠান।
বৃহস্পতিবার এই অনুষ্ঠানের ঘোষণায় হাজির ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রাক্তন সাংসদ মুমতাজ সংঘমিত্রা। তিনি জানিয়েছেন, মুসলমান, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পারশি ধর্মালম্বীরা এ রাজ্যে সংখ্যালঘু তালিকায় রয়েছেন। একইরকম ভাষাগতভাবেও সংখ্যালঘু রয়েছে এ রাজ্যে। সংখ্যালঘু কমিশনের তালিকা অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে যাঁরা উর্দু, হিন্দি, নেপালি, গুরুমুখী, ওড়িয়া, সাঁওতালি ভাষায় কথা বলেন তাঁরা লিঙ্গুইস্টিক মাইনরিটির তালিকায়। যদি এঁদের ভাষাগতভাবে কোনওরকম সমস্যা হয়, তাহলে এঁরা অভিযোগ জানাতে পারেন মাইনরিটি কমিশনে।
[আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেবে জাপান! জল্পনা উসকে দিলেন টোকিওর দূত]
কেমন সে অসুবিধা? কমিশনের সচিব শাকিল আহমেদ জানিয়েছেন, অনেক সময় সংখ্যালঘুদের নানাভাবে হেনস্তা করা হয়। কেউ হয়তো বাংলা জানে না। তবু তাঁকে বাংলায় কথা বলতে বাধ্য করা হচ্ছে। এমন অভিযোগ এলে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেব। তাঁর কথায়, ভারতবর্ষ ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ। নানান ভাষার মানুষের বাস এখানে। গণতন্ত্রে নিরপেক্ষতার সবচেয়ে বড় অলঙ্কার সংখ্যালঘুরা। তাঁদের কোনঠাসা করা যাবে না।
উল্লেখ্য, রাজ্যে পরিবর্তন হওয়ার পর অভিযোগ কমেছে মাইনরিটি কমিশনে। সচিব জানিয়েছেন, গত ৫ বছরে লিঙ্গুইস্টিক মাইনরিটি নিয়ে বড় কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি সংখ্যালঘু কমিশনে। এই হিসেবই বলে দিচ্ছে রাজ্যে সংখ্যালঘুদের অবস্থা যথেষ্ট ভাল। সংঘ্যালঘুদের সমস্যা জানতে জেলায় জেলায় ঘুরছে মাইনরিটি কমিশন। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গের বক্সা এলাকায় নেপালি ভাষাভাষী লোকেদের সঙ্গে ওয়ার্কশপ হয়েছে। এবার পুরুলিয়ায় সাঁওতালদের অভাব অভিযোগ জানতে যাওয়া হবে সেখানে। ১৮ ডিসেম্বর বিশ্ব সংখ্যালঘু অধিকার দিবসের অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন মন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খান, সংখ্যালঘু এবং মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী মহম্মদ গুলাম রব্বানি, লাইব্রেরি দপ্তরের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।