সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমতি না নিয়েই নারদ মামলায় রাজ্যের দুই মন্ত্রী ও এক বিধায়কের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করার জের। ইডি (ED) এবং সিবিআইয়ের (CBI) দুই আধিকারিকের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস পেশ হল বিধানসভায়। সরকারপক্ষের অভিযোগ, দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিক অধ্যক্ষের পদের অমর্যাদা করেছেন।
সম্প্রতি নারদকাণ্ডে (Narada Case) রাজ্যের দুই মন্ত্রী ও এক বিধায়কের নামে চার্জশিট দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। বিধানসভার অধ্যক্ষকে না জানিয়ে রাজ্যপালের অনুমতি নিয়েই চার্জশিট দেওয়া হয়। ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন অধ্যক্ষ। কেন তাঁকে অন্ধকারে রেখে চার্জশিটে জনপ্রতিনিধিদের নাম দেওয়া হল বিধানসভায় (West Bengal Assembly) সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ইডি এবং সিবিআই আধিকারিকদের চিঠি দেন অধ্যক্ষ। প্রথমবার দুই তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের তলব করা হয় গত ৭ সেপ্টেম্বর। সেদিন কোনও সংস্থার তরফেই প্রতিনিধিরা হাজিরা দেননি। তারপরও একাধিকবার সিবিআই এবং ইডির আধিকারিকদের তলব করা হয়। কিন্তু তাঁরা হাজিরা না দিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন। পরে অবশ্য হাই কোর্টের নির্দেশে দুই কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিককেই আদালতে হাজিরা দিতে হয়। কিন্তু অধ্যক্ষ সিবিআই এবং ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেননি।
[আরও পড়ুন: বিজেপিতে কাজ করার চেয়ে টাকা চাওয়ার লোক বেশি! তৃণমূলের মুখপত্রে বিস্ফোরক প্রবীর ঘোষাল]
ইডি এবং সিবিআই আধিকারিকরা যেভাবে অধ্যক্ষকে না জানিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী-বিধায়কদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে এবং পরে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেটা বিধানসভা এবং স্পিকারের পদের জন্য অমর্যাদাকর বলে মনে করছে শাসকদল। সেকারণেই বুধবার বিধানসভা অধিবেশনের শেষদিনে সিবিআই এবং ইডির বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস পেশ করেন বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়। বিজেপি অবশ্য এই স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিসের বিরোধিতা করেছে। আগামী দিনে স্বাধিকার ভঙ্গ কমিটির বৈঠকেও বিজেপি বিধায়করা এর বিরোধিতা করবেন বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
[আরও পড়ুন: তল্লাশির নামে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ‘দুর্ভাগ্যজনক’, উদয়ন গুহর মন্তব্যের পালটা জবাব বিএসএফের]
এদিকে, বুধবার বিধানসভায় যান মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। খড়গপুর ও মেদিনীপুরের মাঝে কাঁসাই সেতু সংস্কার ও বিকল্প আরেকটি সেতু করার জন্য পূর্ত মন্ত্রী মলয় ঘটককে অনুরোধ জানালেন দিলীপবাবু। মেদিনীপুরের সাংসদ জানান, রাজ্য যদি নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দেয় তাহলে কেন্দ্র নতুন ব্রিজ করবে। কারণ জাতীয় সড়কের উপর সেতু তৈরির দায়িত্ব কেন্দ্রের হলেও তা রক্ষণাবেক্ষণের দায়ভার রাজ্যের।