ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: ফের নিম্নমুখী রাজ্যের কোভিড গ্রাফ। একধাক্কায় অনেকটাই কমল বাংলার করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেড় হাজারেরও নিচে নামল আক্রান্তের সংখ্যা। তবে সামান্য বাড়ল মৃত্যু।
রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত মোট ১ হাজার ৪৪৯ জন। সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে আক্রান্ত মোট ৩৮৮ জন। দ্বিতীয় স্থানে কলকাতা। সেখানে ২৫৩ জনের শরীরে মিলেছে ভাইরাসের হদিশ। ১১৬ জন আক্রান্ত হওয়ায় সংক্রমণের নিরিখে তৃতীয় স্থানে বীরভূম। হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আক্রান্ত একশোর নিচে। দক্ষিণ দিনাজপুর, নদিয়া, হাওড়া, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, মালদহে করোনা সংক্রমণ পঞ্চাশের কম। পূর্ব মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ায় আক্রান্ত ২০-রও কম। মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর, ঝাড়গ্রাম এবং কালিম্পংয়ে আক্রান্ত দশেরও কম। পজিটিভ কেস বেড়ে দাঁড়াল ২০ লক্ষ ৭২ হাজার ৩০৭।
[আরও পড়ুন: ‘BJP’র ক’জন বিধায়ক আছে নিজেরাও জানে না’, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিয়ে কটাক্ষ অভিষেকের]
রাজ্যে সংক্রমণ কমেছে ঠিকই। তবে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে সামান্য। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। রবিবার মারণ ভাইরাস প্রাণ কেড়েছিল ৫ জনের। মৃত্যুহার ১.০৩ শতাংশ। সুস্থতাও বেড়েছে বেশ খানিকটা। গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৬৫১ জন করোনামুক্ত হয়েছেন। সুস্থতার হার ৯৭.৫৫ শতাংশ। একদিনে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৮ হাজার ৫৭৩টি। পজিটিভিটি রেট ১৬.৯০ শতাংশ। টিকাকরণের উপর দেওয়া হচ্ছে বিশেষ জোর। সোমবার ৬০ হাজার ২০৫ ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। প্রিকশন ডোজ দেওয়া হয়েছে ৫০ লক্ষ ৬০ হাজার ১৬১ ডোজ।
এদিকে, করোনা যাতে ফের ভয়াল আকার ধারণ না করে তাই সতর্কতামূলক প্রচার চলছে। গড়িয়াহাটে ঘুরে ঘুরে প্রচার করেন পুলিশকর্মীরা। মাস্কহীন পথচলতিদের সতর্কও করেন তাঁরা। সংক্রমণ যেকোনও মুহূর্তে বড়সড় আকার ধারণ করতে পারে। তাই ট্রেনে, বাসে যাতায়াতের ক্ষেত্রে মাস্ক পরার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। এমনকী স্যানিটাইজার ব্যবহারের কথাও বলছেন তাঁরা।