সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘মা গঙ্গা’র বুকে ‘প্রাণ’ বিসর্জন করতে চেয়েছিলেন তাঁরা। নিজেদের অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা অলিম্পিক মেডেলগুলি জলে ভাসিয়ে দিতেই মঙ্গলবার বিকেলে বারাণসীতে পৌঁছন বিশ্ব দরবারে দেশের মুখ উজ্জ্বল রা কুস্তিগিররা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাঁচদিনের জন্য নিজেদের সিদ্ধান্তে ‘ক্ষান্ত’ দিয়েছেন সাক্ষী মালিক (Sakshi Malik), ভিনেশ ফোগাট (Vinesh Phogat), বজরং পুনিয়ারা (Bajrang Punia)। কৃষক নেতাদের অনুরোধেই তাঁদের এই মতবদল। আপাতত কেন্দ্রকে আগামী রবিবার পর্যন্ত সময় দিয়েছেন তাঁরা। আর এরপরই তাঁদের খোঁচা দিতে দেখা গেল ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট ও বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ শরণ সিংকে (Brij Bhushan Sharan Singh)।
কী বলেছেন ব্রিজভূষণ? এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলার সময় তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”কুস্তিগিররা গঙ্গায় তাঁদের পদক বিসর্জন দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু গঙ্গাজিকে না দিয়ে তা তাঁরা দিয়ে দিলেন টিকাইতকে (রাকেশ)। এটাই ওদের সিদ্ধান্ত। এখানে আমরা কী করতে পারি?”
[আরও পড়ুন: স্ক্রিন শেয়ার থেকে নাম, নম্বর লুকিয়ে ফেলা! WhatsApp আনছে নতুন ফিচার!]
প্রসঙ্গত, ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনে তাঁকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন কুস্তিগিররা। কিন্তু সংসদ ভবনের সামনে এই দাবি সংক্রান্ত কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে পুলিশি হেনস্তার শিকার হন সাক্ষী, ভিনেশরা। রাস্তায় পড়ে মার খাচ্ছেন পদকজয়ীরা, এই ছবি ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। এই পরিস্থিতিতে ব্রিজভূষণের সাফ কথা, তিনি ইস্তফা দেবেন না। কেননা তাঁর মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। এমনিতেই নির্বাচন হওয়ার কথা। তাঁর কথায়, ”আমি যদি কোনও অন্যায় করে থাকি, তাহলে গ্রেপ্তার হব। আমার তাতে কোনও সমস্যা নেই।”
পাশাপাশি কুস্তিগিরদের আন্দোলন সম্পর্কে তিনি বলছেন, ”ওরা কেন এমন করছে সেটা ওরাই বলতে পারবে। রাতারাতি কমিটি তৈরি হল, ওদের অনুরোধে এফআইআরও দায়ের হয়েছে। এখন তদন্ত চলছে। আমাদের হাতে আর কিছুই নেই। সবটাই দিল্লি পুলিশের অধীনে।” উল্লেখ্য, দিল্লি পুলিশ ব্রিজ ভূষণের বিরুদ্ধে দু’টি এফআইআর দায়ের করেছে গত মাসেই।
[আরও পড়ুন: চাপের চাকরি করার দরকার নেই, মেয়েকে মাসে ৪৭ হাজার বেতন দেবেন মা-বাবাই!]
এদিকে রবিবার যন্তর মন্তরে কুস্তিগিরদের সঙ্গে হওয়া আচরণের ফলে বিশ্ব কুস্তির নিয়ামক সংস্থার তোপের মুখে পড়েছে ভারত। মঙ্গরবার রাতে পেশ করা এক বিবৃতিতে যন্তর মন্তরে যেভাবে কুস্তিগিরদের হেনস্তা করা হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা করছে নিয়ামক সংস্থা। প্রয়োজন পড়লে সর্বভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনকে নিষিদ্ধ করে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইউনাইটেড ওয়ার্ল্ড রেসলিং।