সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনায় কোণঠাসা চিন। দেশটির ‘জিরো কোভিড’ নীতি ব্যর্থ করে দিয়েছে ওমিক্রন বিএফ-৭। লাগামছাড়া সংক্রমণে রীতিমতো বেকায়দায় পড়েছে শি জিনপিংয়ের প্রশাসন। এহেন পরিস্থিতি নিয়ে ফের উদ্বেগ প্রকাশ করলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রস আধানম ঘেব্রিয়েসুস। এদিকে, সংক্রমণের আশঙ্কায় চিন ফেরত যাত্রীদের নিয়ে কড়াকড়ি শুরু করেছে বহু দেশ।
বিশ্বে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। শুক্রবার এই বিষয়ে হু প্রধান ঘেব্রিয়েসুস বলেন, “চিনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমাদের বিশেষজ্ঞ দল ভারচুয়ালি আলোচনা করেছে। ফের করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হয়েছে তাদের মধ্যে।” তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তিনি আরও বলেন, “করোনা পরিস্থিতির সঠিক ছবি পেতে এবং সেইমতো যাতে তৈরি থাকা যায়, তার জন্য হু বারবার তথ্য ও পরিসংখ্যানে স্বচ্ছতা বজায় রাখার উপর জোর দিয়েছে।”
[আরও পড়ুন: যুদ্ধ শুরুর পরে সবচেয়ে বড় আঘাত, মাঝরাতে ইউক্রেনের আকাশে বিপুল সংখ্যক রুশ ড্রোন]
লক্ষণীয়ভাবে, কয়েকদিন আগেই ঘেব্রিয়েসুস বলেছিলেন, “চিনে ফের করোনার প্রকোপ নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। আশা করছি, চিন এই সংক্রান্ত তথ্য দেবে এবং আমাদের সুপারিশগুলি পর্যালোচনা করে দেখবে। টিকাকরণ অভিযান আরও দ্রুত চালেতে চিনের পাশে থাকব আমরা।” বেজিংকে একহাত নিয়ে এদিন কোভিড সংক্রমণের উৎস সম্পর্কে অনেক তথ্যই এখনও পর্যন্ত সামনে আসেনি বলে জানিয়েছিলেন তিনি। এবার ফের পরিসংখ্যানে স্বচ্ছতা বজায় রাখার দাবি জানিয়ে বেজিংকে একহাত নিলেন তিনি।
এদিকে, সংক্রমণের আশঙ্কায় চিন (China) ফেরত যাত্রীদের নিয়ে কড়াকড়ি শুরু করেছে বহু দেশ। কোভিড নিগেটিভ রিপোর্ট চাইছে আমেরিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, ফ্রান্স ও গ্রেট ব্রিটেন-সহ বহু দেশ। এই প্রসঙ্গে হু-প্রধান বলেন, “নিষেধাজ্ঞা জারি করাই স্বাভাবিক। চিন থেকে পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। বিশ্বের একাধিক দেশ যে পদক্ষেপ করছে, তা নিজেদের জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষিত রাখতেই করছে। এটা খুবই স্বাভাবিক বিষয়।”