সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকাকে টেক্কা দিয়ে মহাশক্তি হয়ে উঠতে চাইছে চিন। নাৎসিদের কায়দায় বিশ্বজুড়ে ‘প্রোপাগান্ডা ওয়ার’ শুরু করেছে কমিউনিস্ট দেশটি। জানা গিয়েছে, নেভিল রয় সিংহম নামের এক মার্কিন ধনকুবের মাধ্যমেই দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত এবং আমেরিকা-সহ বেশ কয়েকটি দেশে মগজ ধোলাইয়ের কাজ করছে বেজিং।
কে এই নেভিল রয় সিংহম? দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদন মোতাবেক, আমেরিকার কোটিপতি ব্যবসায়ী ও সমাজসেবী তিনি। ‘ThoughtWorks’ নামের একটি আইটি কোম্পানি রয়েছে তাঁর। মূলত, বিভিন্ন সফ্টওয়্যার, টুলস ও কনসালটেন্সি পরিষেবা প্রদান করে সংস্থাটি। ১৯৫৪ সালে শ্রীলঙ্কার রাজনীতি গবেষক ও ঐতিহাসিক আর্চিবল্ড বিক্রমরাজা সিংহমের ঘরে জন্ম হয় নেভিলের। ২০১৭ সালে ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রাক্তন উপদেষ্টা জডি ইভান্সকে বিয়ে করেন তিনি।
অভিযোগ, নিজের সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বজুড়ে চিনের হয়ে প্রচার করছেন সিংহম। এর জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, উইঘুর নির্যাতন, তিব্বতে নিপীড়ন ও হংকংয়ের দমননীতি চালালেও বিশ্বমঞ্চে নিজের ছবি স্বচ্ছ রাখতে ভুয়ো প্রচার চালাচ্ছে চিন।
[আরও পড়ুন: ইউক্রেনে ৭০টি মিসাইল ছুঁড়ল রাশিয়া, মৃত অন্তত ৬, পালটা হামলা জেলেনস্কিরও]
জানা গিয়েছে, নেভিল এবং তাঁর প্রচার নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত কিছু সংস্থার মধ্যে রয়েছে নো কোল্ড ওয়ার, নিউজক্লিক এবং কোড পিঙ্ক। এনওয়াইটি-র মতে, সম্প্রতি এই সংস্থাগুলি চিনের হয়ে কথা বলছে। ভারতেও নাকি এমনই কাজকর্ম চালাচ্ছিলেন নেভিল। তাঁর একটি নিউজসাইটে হানা দেয় ভারতের তদন্তকারী সংস্থাগুলি। আমেরিকার জমিতেই গজিয়ে ওঠা বেশ কয়েকটি সন্দেহজনক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমেই নাকি এহেন কার্যকলাপের টাকা জোগাড় করা হত।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের দাবি, এই সংস্থাগুলি অনুদান হিসাবে কমপক্ষে ২৭৫ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে। অনুদান ও ব্যবসার রেকর্ড, অভ্যন্তরীণ নথি, এবং সিংহমের সঙ্গে যুক্ত সংস্থার দুই ডজনেরও বেশি প্রাক্তন কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তদন্তকারীরা বেশ কয়েকটি শেল কোম্পানিকে রাডারে রেখেছে। দিল্লিতে নিউজক্লিক নামের একটি সংবাদ ওয়েবসাইট নেভিলের চিনা প্রচারের বিশাল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত। নিউজক্লিকে সিংহমের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে টাকা জোগান দেওয়া হয়েছিল। ওই ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনগুলিতে চিনা সরকারের হয়ে কথা বলা হয়েছে। ভারতের তদন্তকারী সংস্থাগুলি ইতিমধ্যে সিংহমের এবং নিউজক্লিকের মধ্যে যোগ খতিয়ে দেখছে।