সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় ২ বছর ধরে করোনার ধাক্কা। তার উপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বাড়তে থাকা অশোধিত তেলের দাম। ফলে প্রবল ক্ষতির মুখে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। জ্বালানি থেকে শুরু করে আনাজপাতির মূল্যবৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস উঠছে আমজনতার। এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ বাড়িয়ে মে মাসে দেশের পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি (wholesale inflation) পৌঁছল ১৫.৮৮ শতাংশে।
এপ্রিলে এই হার পৌঁছেছিল ১৫.০৮ শতাংশে। এবার সেই অঙ্কও পেরিয়ে গেল মুদ্রাস্ফীতি। গত বছর মে মাসে এই হার ছিল ১৩.১১ শতাংশ। ১ বছরের মধ্যে সেই হার বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই। শুধু তাই নয়, ২০১২ সাল থেকে ধরলে এটাই পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির সর্বোচ্চ হার।
[আরও পড়ুন: TMC’র ভয়ে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বদল! উপনির্বাচনের প্রচারে একাধিক ইস্যুতে বিজেপিকে খোঁচা অভিষেকের]
এদিন পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে কেন্দ্র সরকার। জানা গিয়েছে, লাগাতার ১৪ মাস ‘হোলসেল প্রাইস ইন্ডেক্স’ বা পাইকারী মুদ্রাস্ফীতির সূচক রয়েছে দুই অঙ্কে, যা ভারতের মতো অর্থিনীতির জন্য খুবই উদ্বেগের বিষয়। বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের তরফে পেশ করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, খাদ্যসামগ্রী, রাসায়নিক পদার্থ প্রভৃতির দাম বাড়ার ফলেই পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি সূচক ঊর্ধ্বমুখী।
সম্প্রতি কেন্দ্র সরকার জানিয়েছে, দেশের খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার (Retail inflation) পৌঁছেছে ৭.০৪ শতাংশে। এপ্রিলে তা ছিল ৬.৯৫ শতাশ। মার্চ মাসে ৬.০৭ শতাংশ। এর ফলে কাঁচা বাজারের যে অগ্নিমূল্য তা আরও ভ্রুকুটি দেখাবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
উল্লেখ্য, গত মে মাসের পরে ফের রেপো রেট অর্থাৎ ব্যাংকগুলিকে দেওয়া সুদের হার বাড়াল রিজার্ভ ব্যাংক (RBI)। একধাক্কায় রেপো রেট (Repo Rate) বাড়িয়ে দেওয়া হল ৫০ বেসিস পয়েন্ট। যার ফলে রিজার্ভ ব্যাংকের নতুন রেপো রেট দাঁড়াচ্ছে ৪.৯০ শতাংশ।
দেশে মৃল্যবৃদ্ধির অন্যতম কারণ রাশিয়ান-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russian-Ukraine War)। মূল্যবৃদ্ধির ৫৯ শতাংশ কারণই হল বর্তমান অস্থির আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি। এই অবস্থা সামাল দিতে গত মাসেই রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া আচমকা রেপো রেট, অর্থাৎ যে হারে স্বল্প মেয়াদে ব্যাংকগুলিকে ঋণ দেয়, সেই হার বাড়ায়। এমনটাই জানিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা।