সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরই ইমাম ও মোয়াজ্জেমদের জন্য আলাদা ভাতা চালু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে আলাদা করে পুরোহিতদের জন্যও চালু করা হয় বিশেষ ভাতা। প্রায় ১০-১১ বছর ধরে এই ধর্মগুরুতদের ভাতা দেওয়া চলছে। যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কম প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়নি।
সোমবারই আরও একবার ইমাম এবং মোয়াজ্জেমদের ভাতা ৫০০ টাকা করে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। বাড়ানো হয়েছে পুরোহিতদের ভাতাও। যার জেরে আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে পুরনো প্রশ্নগুলি। কেন ইমাম এবং মোয়াজ্জেমদের ভাতা দেওয়া হবে? সরকারি টাকা কেন ধর্মীয় গুরুরা এভাবে পাবেন? সেই সব প্রশ্নের জবাব এদিন দিয়ে দিলেন মমতা। মঙ্গলবার নেতাজি ইন্ডোরে কলকাতার পুজো কমিটিগুলিকে নিয়ে করা বৈঠকে মমতা স্পষ্ট করে দিলেন, ইমাম বা মোয়াজ্জেমদের ভাতা এমনি এমনি দেওয়া হয় না, সেজন্য তাদের অনেক পরিশ্রম করতে হয়।
[আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালনের দিন নির্ধারণ করল কমিটি, মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদনের অপেক্ষা]
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, “অনেকে আমাকে প্রশ্ন করে, কেন ইমাম ভাতা পাবে? পুরোহিত কেন ভাত পাবে? আরে ওরা কত কাজ করে জানেন! যদি কোনও দাঙ্গা লাগে একটা ইমাম গিয়ে মেটায়। পালস পোলিওর প্রয়োজন পড়লে ওরা দেয়। কমিউনিটি ডেভেলপমেন্টের কাজে লাগে। আবার পুরোহিতরাও মনে রাখবেন, সব পুরোহিত বড়লোক নয়। অনেক পুরোহিত গরিবও হয়।” অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দেন, ইমাম ও মোয়াজ্জেমদের ভাতা দেওয়া হয় সমাজ সেবার জন্যই।
[আরও পড়ুন: যাদবপুরে মাওবাদীদের আধিপত্য! UAPA ধারা জারি, NIA তদন্তের আবেদন শুভেন্দুর]
দুর্গাপুজোয় পুজো কমিটিগুলিকে কেন টাকা দেওয়া হয় সে ব্যাখ্যাও এদিন দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এসব নিয়ে বলতে গেলে তো আবার কোর্ট কেসে চলে যাবে। আমি বলি টাকাটা এই জন্য পায়, তাঁরা রাজ্যের উন্নয়নমূলক কাজকর্মের প্রচার করে। মানুষের সচেতনতা বাড়ায়, মানুষকে সজাগ করে। আমরা টাকা দিয়ে ক্লাবকে কিনছি তা নয়। আমি জানি বাইরেই অনেক আরশোলা বসে আছে, গিয়ে সোজা জনস্বার্থ মামলা ঠুকে দেবে।”