সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গাজা থেকে কোনও কুকুর, বিড়ালকে ইজরায়েলে আনা যাবে না। সাধারণ মানুষকে এমনই নির্দেশ দিয়েছে ইহুদি দেশটির প্রশাসন। এদের থেকে যাতে কোনওভাবে রোগ ছড়িয়ে না পড়ে তাই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। হামাসকে নিঃশেষ করতে গত চার মাস ধরে গাজায় তীব্র আক্রমণ শানাচ্ছে ইজরায়েলি ফৌজ। এখনও একশোর উপর ইজরায়েলি পণবন্দি রয়েছে প্যালেস্টাইনের জঙ্গিগোষ্ঠীর হাতে। তাঁদের ফেরাতে সরকারের উপর ক্রমশ চাপ বাড়ানো হচ্ছে।
এএনআই সূত্রে খবর, শুধু গাজা নয়, দেশের উত্তর সীমান্তবর্তী কোনও অঞ্চল থেকেই কুকুর ও বিড়াল না আনার নির্দেশ দিয়েছে ইজরায়েলের কৃষি ও স্বাস্থ্য দপ্তর। ইচিনোকোকাস, জলাতঙ্ক, স্ক্যাবিস-সহ একাধিক রোগের আশঙ্কায় এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ওইসব অঞ্চল থেকে যদি কুকুর-বিড়াল নিয়ে আসতে হলে প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে। হামাস বনাম ইজরায়েল যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এখনও পর্যন্ত গাজা থেকে প্রায় ৫ হাজার কুকুর ইহুদি দেশটিতে এসেছে।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যদি কোনও ব্যক্তিকে কুকুর কিংবা বিড়াল আঁচড়ায় বা কামড়ায় তাহলে দ্রুত যেন ক্ষত স্থানটি সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলা হয়। এবং চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করা হয়। একমাত্র নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকেই কুকুর-বিড়ালকে পোষ্য হিসাবে দত্তক নেওয়া যাবে। তাদের সম্পূর্ণ শারীরিক পরীক্ষা ও ভ্যাকসিন দেওয়ার পরই বাড়িতে আনা যাবে।
বলে রাখা ভালো, ইজরায়েলের আক্রমণে গুঁড়িয়ে গিয়েছে উত্তর গাজা। ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্যব্যবস্থা। তীব্র লড়াই চলছে দক্ষিণ গাজায়। হাসপাতালগুলোতে উপচে পড়েছে মৃতদেহ। শরণার্থী শিবিরগুলোতেও একসঙ্গে বহু মানুষ বাস করছেন। ফলে সেখানে বিভিন্ন রোগের প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই আবহে দেশের মানুষের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ করেছে ইজরায়েল বলে মত বিশ্লেষকদের।