সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi Mosque) নিয়ে প্রথমবার বিবৃতি দেওয়া হল বিজেপির তরফ থেকে। দলের প্রেসিডেন্ট জে পি নাড্ডা (JP Nadda) জানিয়ে দিলেন, সংবিধান মেনে আদালত যা রায় দেবে, তাতেই সন্তুষ্ট বিজেপি। দলের পক্ষ থেকে আলাদা ভাবে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হবে না এই বিষয়ে। প্রসঙ্গত, অযোধ্যায় রাম জন্মভূমিতে বাবরি মসজিদ সরিয়ে মন্দির বানানোর আন্দোলনকে দলের রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা বলে ঘোষণা করেছিল বিজেপি।
কয়েকদিন আগেই বারাণসী আদালতের নির্দেশে জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতরে শুরু হয়েছিল ভিডিও সার্ভে। বহুদিন ধরেই মথুরায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মভূমিতে (Krishna Janmabhoomi) নির্মিত শাহী ইদগাহ মসজিদ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কিছুদিন আগেই এই মসজিদ সরিয়ে দেওয়ার দাবিতে মামলা দায়ের করা হয় মথুরার একটি স্থানীয় দেওয়ানি আদালতে। সেই দাবি মেনে মামলার শুনানি শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছে মথুরার জেলা আদালত। এই দু’ টি মামলা প্রসঙ্গে নাড্ডা জানান, বিজেপি চায় দেশের সংস্কৃতির উন্নতি হোক। তাই আদালত যে কোনও রায় দিক, বিজেপি মাথা পেতে নেবে।
[আরও পড়ুন: এবার দূরপাল্লার ট্রেনের শৌচালয়ে নজর রেলের, কমোডে আবর্জনা ফেললে জরিমানার ভাবনাও]
মোদি সরকারের আট বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন নাড্ডা। সেখানেই তিনি পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দেন, এই দুই প্রসঙ্গে কিছুই বলেনি বিজেপি। তিনি জানিয়েছেন, “আমরা সবসময় সাংস্কৃতিক উন্নয়নের কথা বলে আসছি। কিন্তু এই বিষয় গুলিতে শেষ কথা বলবে সংবিধান এবং আদালতের রায়। তাই মসজিদ প্রসঙ্গে আদালত যা রায় দেবে, তাই মেনে নেবে বিজেপি।”
সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করেন, তাহলে কি বিজেপির অ্যাজেন্ডাতে জ্ঞানবাপী মসজিদ এবং শাহী ইদগাহের স্থান নেই? উত্তরে নাড্ডা (BJP President) জানান, রামমন্দির (Ayodhya Ram Mandir) বানানোর পরে এই ধরনের আর কোনও প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়নি। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি আধিকারিকের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। তিনি বলেছেন, “বিজেপি সদস্যদের মধ্যে নানা মতামত থাকতেই পারে। কিন্তু দল হিসাবে কোনও অবস্থান নেয়নি বিজেপি। আইনকে বিভিন্ন ভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। মানুষ নিজের মতো ব্যাখ্যা করতেই পারে। কিন্তু আদালতের রায়কেই শেষ কথা হিসাবে ধরে নেবে বিজেপি।”
প্রসঙ্গত,১৯৯১ সালের প্লেসেস অফ ওয়ারশিপ আইন পাস করা হয়। এই আইনে বলা হয়েছিল, ১৯৪৭-এর ১৫ আগস্টের পর কোনও ধর্মীয় স্থানে যেভাবে উপাসনা হত, সেই চরিত্র বদল করা যাবে না। নাড্ডা আরও জানিয়েছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চান, দেশের সকল মানুষকে একত্রিত করে শক্তিশালী ভারত গড়ে তুলতে।”