সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যে প্রশাসন বলে কিছু নেই। সব ক্ষেত্রে ভরে গিয়েছে দুর্নীতি। কলকাতায় এসে এভাবেই তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মিঠুন চক্রবর্তী। শুধু তাই নয়, রীতিমতো হুঙ্কারের সুরে বলে দিলেন, মুখ্যমন্ত্রী হলে ৬ মাসের মধ্যে গোটা সিস্টেম বদলে দেব। নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়েই গেরুয়া শিবিরের তরফে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দাবিদার হিসেবে যেন নিজেকে তুলে ধরলেন ‘মহাগুরু’ মিঠুন।
শুক্রবার কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বর্ষীয়ান অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। সেখানেই একাধিক বিষয় নিয়ে শাসক দলকে নিশানা করেন তিনি। তাঁর কথায়, গোটা রাজ্য দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে একের পর এক দুর্নীতির ছবি সামনে আসছে। রাজ্যে প্রশাসন বলে কিছুই নেই। গোটা সিস্টেম দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে, আর এমন পরিস্থিতিতেই গণআন্দোলন তৈরি হয়। তবে সেক্ষেত্রে ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরি। গণআন্দোলন ছাড়া এ রাজ্যের কিচ্ছু হবে না। এরপরই যোগ করেন, “আমায় মুখ্যমন্ত্রী করে দিলে ৬ মাসের মধ্যে গোটা সিস্টেম বদলে দেব। পশ্চিমবঙ্গ আর এই পশ্চিমবঙ্গ থাকবে না।”
[আরও পড়ুন: ‘বিদেশে গিয়ে দেশের নিন্দা কেন?’ রাহুলের মার্কিন সফর নিয়ে তোপ প্রাক্তন ক্রিকেটারের]
রাজ্যে শিক্ষা দুর্নীতিতে একের পর এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। মিঠুনের দাবি, যে-ই ধরা পড়ুক না কেন, গোটা সিস্টেম যে দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে, সেটা বদলানো জরুরি। তাঁর দাবি, তিনি মুখ্যমন্ত্রী হলে বাংলার চেহারা বদলে যাবে। অর্থাৎ বাংলায় বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে দ্বিধা করেননি তিনি। এর আগে একুশের নির্বাচনী প্রচারের সময়ও নিজেকে মুখ্যমন্ত্রীর দাবিদার হিসেবে ব্যক্ত করেছিলেন মিঠুন। আর এই বিষয়টিকেই পালটা আক্রমণ করেছে তৃণমূল।
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলে দেন, “অভিনেতা হিসেবে মিঠুনদা অত্যন্ত শ্রদ্ধেয়। কিন্তু তাঁর মতো বিশ্বাসঘাতক মানুষ নেই। এক সময় মমতাকে যিনি বোন সম্বোধন করতেন, এখন তাঁর মুখেই উলটো কথা।” এরপরই তাঁর খোঁচা, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মিঠুন চক্রবর্তীর নিজেকে তুলে ধরা মানে তো দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীদের মাথা চাপড়াতে হবে।