সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরোধীদের প্রতিবাদকে ‘কান্নাকাটি’ বলে আখ্যা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। সংসদের বিশেষ অধিবেশনের আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, কান্নাকাটি করার জন্য পরে অনেক সময় পাবেন বিরোধীরা। আপাতত সংসদের কাজে মন দিন তাঁরা। কারণ জীবনে খুব কম সময় আসে যখন মানুষের জীবনে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়। সংসদের বিশেষ অধিবেশনকে ঐতিহাসিক বলে অভিহিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর জীবনের উৎসাহ বাড়িয়ে তুলেছে এই অধিবেশন।
সোমবার থেকে শুরু হয়েছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। পরের দিন থেকেই নতুন সংসদ ভবনে অধিবেশন শুরু হবে। তার আগে শেষবার পুরনো সংসদ ভবনে একত্রিত হন সাংসদরা। তবে তার আগেই বিরোধীদের একহাত নিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই অধিবেশন খুবই কম সময় চলবে। তাই নিজেদের পুরো সময় অধিবেশনের কাজেই দেওয়া উচিত সাংসদদের। পরে অনেক কান্নাকাটির সময় পাবেন, তখন করবেন। খুব কম সময়ই আমাদের জীবনে উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেখা যায়। এই বিশেষ অধিবেশনটাও আমার কাছে সেরকমই উৎসাহ আর বিশ্বাসে ভরপুর একটি বিষয়।”
সংসদের অধিবেশন শুরু হওয়ার পরে অবশ্য বিরোধী দলগুলোর প্রশংসা শোনা যায় প্রধানমন্ত্রীর মুখে। পুরনো সংসদ সদস্যদের স্মৃতিতর্পণে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু (Jawaharlal Nehru) এবং তাঁর মন্ত্রীসভাকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন মোদি। নেহরুর পাশাপাশি লালবাহাদুর শাস্ত্রী, ইন্দিরা গান্ধী এবং মনমোহন সিংয়ের অবদানের কথাও নিজের ভাষণে তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, পুরনো সংসদ ভবনের বহু শোকেরও সাক্ষী। যেমন, তিন প্রধানমন্ত্রীকে তাঁদের কার্যকালে হারিয়েছিল এই সংসদ ভবন।