সুকুমার সরকার, ঢাকা: অন্য মহিলার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন স্বামী! এই সন্দেহে স্বামীর যৌনাঙ্গ কেটে থানায় হাজির স্ত্রী। খবর পাওয়ামাত্রই পুলিশ জখম স্বামীকে উদ্ধার করে। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে তাঁকে। ঢাকার গাজিপুরের ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
ওই এলাকার বাসিন্দা হনুফা এবং শরিফের আগেও বিয়ে হয়েছিল। আনসার রোড এলাকার প্রবৃদ্ধি অ্যাপারেলস পোশাক কারখানায় অপারেটর পদে চাকরি করেন। শরিফের প্রথম পক্ষের বছর ছয়েকের একটি মেয়ে রয়েছে। স্ত্রী হনুফার দু’টি ছেলে। তা সত্ত্বেও দ্বিতীয়বার হনুফা এবং শরিফ একে অপরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। মাসপাঁচেক আগে বিয়েও করেন দু’জনে। আমান উল্লাহ নামে এক ব্যক্তির বাড়ি ভাড়া নেয় দম্পতি। দিব্যি চলছিল সংসার।
[আরও পড়ুন: মগরাহাটে ফের শুটআউট, ব্যবসায়িক বিবাদে চলল গুলি, নিহত ব্যবসায়ী]
তবে মঙ্গলবার ঘটে বিপত্তি। জানা গিয়েছে, রাত ৯টা নাগাদ শরিফ বাড়ি ফেরেন। হনুফা তাঁকে দুধ খেতে দেয়। এক চুমুক দুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন শরিফ। পরে হনুফা মধ্যরাতে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেন। স্বামীর যৌনাঙ্গ হাতে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় সে। দরজা বাইরে থেকে তালা দিয়ে যায় হনুফা। সোজা থানায় পৌঁছে যায় সে। হনুফা থানায় গিয়ে পুলিশকে বলে, “৫ মাস আগে শরিফকে ভালোবেসে বিয়ে করি। আমার আগের সংসারে স্বামী ও দুই পুত্রসন্তানকে রেখে তাকে বিয়ে করেছি। সে এখন অন্য মেয়ের সঙ্গে পরকীয়া করে। তাই আমি তাকে শিক্ষা দিতে এই কাণ্ড করেছি।”
খবর পাওয়ামাত্রই থানা থেকে পুলিশ শরিফের ভাড়াবাড়িতে যায়। আহত শরিফকে উদ্ধার করে পুলিশ। প্রথমে তাঁকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে গাজিপুর শহিদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেও উপযুক্ত চিকিৎসা পরিকাঠামো না থাকায় ওই হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।