সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জমি কিনে রেখেছেন, দোতলা বাড়ি আছে, রয়েছে দামি মোটরসাইকেল, ২০ হাজার টাকা দামের স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। সম্পত্তির এই পরিসংখ্যান ইন্দোর শহরের এক ভিখারির। ইন্দিরা বাই শিকার করেছেন, ভিক্ষা করে বছরে ২০ লক্ষ টাকা উপার্জন করেন। এমনকী গত দেড় মাসে আড়াই লক্ষ টাকা আয় করেছেন। নিজে এবং তিন সন্তানকে ‘জোর করে’ ভিক্ষে করানোর দায়ে সম্প্রতি তাঁকে আটক করেছে পুলিশ। এর পরেই মহিলার সম্পত্তির পরিমাণ প্রকাশ্যে আসে। যা দেখে চোখ কপালে উঠেছে ইন্দোর প্রশাসনের।
গত ৪৫ দিন ধরে ইন্দোর-উজ্জয়িনী রোডের লব-কুশ স্কোয়্যারে ভিক্ষা করছিলেন ইন্দিরা এবং তাঁর আট বছরের মেয়ে। মহিলা জানিয়েছেন এই দেড় মাসে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আয় করেছেন। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে সেই টাকার হিসাবও দিয়েছেন। এর মধ্যে ১ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছেন রাজস্থানের বাড়িতে। সেখানেই তাঁর আরও দুই সন্তান মানুষ হচ্ছে তাদের ঠাকুরদা এবং ঠাকুমার কাছে। বাকি দেড় লক্ষ টাকার মধ্যে ৫০ হাজার টাকা ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজ়িট করেছেন। ৫০ হাজার টাকা খরচ করেছেন ব্যক্তিগত কারণে।
[আরও পড়ুন: মারাঠা-ভূমে মহানাটক! চহ্বানের চমকে বিশ বাঁও জলে কংগ্রেসের রাজ্যসভা প্ল্যান]
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আটক করার সময় ইন্দিরার কাছে ছিল ১৯ হাজার ২০০ টাকা। ওই টাকা ৭ দিনের উপার্জন বলে জানিয়েছেন। মহিলার আরও দাবি, আট বছরের মেয়ে গত বুধবার সকাল থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ৬০০ টাকা উপার্জন করেছে। জানা গিয়েছে, গোটা পরিবার অর্থাৎ মহিলা, তাঁর স্বামী এবং তিন সন্তান ভিক্ষার ব্যবসা ফেঁদে বসেছিলেন। এর ফলেই মাসে আয় ছিল ২০ লক্ষ টাকা। অনেকাংশে কর্পোরেট চাকরির বেতনের থেকেও বেশি। এছাড়াও ইন্দিরা ও তাঁর পরিবারের রয়েছে জমি, বাড়ি, গাড়ি, স্মার্টফোন-সহ অন্যান্য ত্যাধুনিক বৈদ্যুতিন জিনিসপত্র।
[আরও পড়ুন: উত্তরাখণ্ডের পর অসমেও অভিন্ন দেওয়ানি বিধি! লোকসভার আগে বড় ঘোষণা হিমন্তর]
উল্লেখ্য, মধ্যপ্রদেশ সরকার শহরগুলিকে ভিক্ষুক মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই কাজ করতে গিয়েই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানা গিয়েছে। যেমন, ইন্দোরে ৭০০০-এর বেশি মানুষের পেশা ভিক্ষাবৃত্তি। যাঁরা ইন্দোরের ৯৮.৭ শতাংশ মানুষের থেকে বেশি উপার্জন করেন। ইন্দিরা বাইয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। আট বছরের মেয়েটিকে শিশুদের জন্য হোমে পাঠানো হয়েছে।