সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেউ কথা রাখেনি! মন ভেঙেছে প্রেমিক। ঘর বেঁধেছে নতুন কারও সঙ্গে। এমন অবস্থায় স্বপ্ন ভাঙার বদলা নিতে কত কিছুই করেন প্রেমিকারা। কেউ আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। কেউ আবার নেশায় ডোবেন। কেউ কেউ প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধরনাও দেন, আবার কেউ প্রেমিকের বিয়েতে গিয়ে চূড়ান্ত অপমানও করে আসেন মন ভেঙে দেওয়া বয়ফ্রেন্ডকে। কিন্তু প্রেমিকের ‘স্বরূপ’ সামনে আনতে অস্ট্রেলিয়ার এক মহিলা যা করলেন, তা হয়তো অনেকেই ভাবতে পারবেন না। আপাতত সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং তাঁর সেই ‘রিভেঞ্জ’। ব্যাপারটা কী?
অস্ট্রেলিয়ার সাপ্তাহিক সংবাদপত্র ‘ম্যাকে অ্যান্ড হুইটসানডে লাইফ’-এর চারের পাতায় একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়। একেবারে পাতাজোড়া বিজ্ঞাপন। যেখানে বড়-বড় হরফে লেখা, প্রিয় স্টিভ, আশা করি ওঁর সঙ্গে ভালই আছো। এবার গোটা শহর জানবে তুমি কত বড় ঠগবাজ।” জনৈক জেনির তরফে এই বিজ্ঞাপন ছাপানো হয়েছে। এখানেই শেষ হয়নি প্রমিকার বদলা নেওয়ার পালা। সেটা জানতে হলে বিজ্ঞাপনের শেষঅবধি পড়তে হবে।
[আরও পড়ুন: তেলমশলা দেওয়া খাবারে ‘না’, ভাত-ডাল-আলুসেদ্ধতেই খুশি CBI হেফাজতে থাকা অনুব্রত]
ওই মহিলা কিন্তু নিজের টাকায় মোটেই ওই বিজ্ঞাপন ছাপাননি। সেটাই বিজ্ঞাপনের বয়ানের নিচে উল্লেখ করে দিয়েছেন। লেখা হয়েছে, সেই প্রতারক বয়ফ্রেন্ড স্টিভের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেই এই বিজ্ঞাপনের খরচ মিটিয়েছেন। অর্থাৎ প্রেমিকের টাকাতেই তাঁর বদনাম করেছেন মন ভাঙা প্রেমিকা।
স্বাভাবিকভাবেই এই বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই সংবাদপত্রের দপ্তরে একের পর এক ফোন আসছে। আসছে মেসেজও। পাঠকদের একটাই প্রশ্ন, কে এই স্টিভ, জেনির-ই বা পরিচয় কী? সংবাদপত্রটির সোশ্যাল মিডিয়া পেজেও কমেন্টের ঝড় উঠেছে। পাঠকদের ফোন-মেসেজের উত্তর দিতে দিতে ক্লান্ত দপ্তরের কর্মীরা। শেষপর্যন্ত প্রকাশ্যে বিবৃতি দেয় তারা। জানায়, পাঠকদের প্রচুর ফোন, মেসেজ পেয়েছি। তাঁদের উত্তরেই জানাচ্ছি, স্টিভকে আমরা চিনি না। আর জেনির বিষয় কোনও তথ্য ফাঁস করা হবে না বলেও স্পষ্ট করে দিয়েছে সংস্থা। তবে পাঠকরা বলছেন, স্টিভ যে-ই হোক না কেন, মানুষটা যে খুব খারাপ সেটা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে।