সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৪ ঘণ্টায় পরপর দুই রেল দুর্ঘটনা রাশিয়ায়। শনিবার রাতে যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে মৃত্যু হয় অন্তত সাতজনের। জখম আরও ৩০ জন। দুর্ঘটনার নেপথ্যে তৃতীয় শক্তির হাত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আরও একটি দুর্ঘটনা ঘটল রাশিয়ায়। মালগাড়ি সমেত ভেঙে পড়ল সেতু। পরপর দুই দুর্ঘটনার নেপথ্যে কি ইউক্রেনের হাত রয়েছে, খতিয়ে দেখছে রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা।
প্রথম ঘটনাটি ঘটে শনিবার রাতে রাশিয়ায় ব্রায়ানস্কে। সেতুর নিচ দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন যাওয়ার সময় তার উপর সেতুর একাংশ ভেঙে পড়ে। তাতেই লাইনচ্যুত হয় ট্রেনটি। প্রাণ যায় সাতজনের। রাশিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম RIA এবং TASS-এর দাবি, এর মধ্যে ট্রেন চালক রয়েছেন। এ প্রসঙ্গে রিজিওনাল গভর্নর আলেকজান্ডার বোগোমোজ জানান, ট্রেনটি মস্কো থেকে ক্লিমোভ যাচ্ছিল। ভায়গোনিস্কি জেলায় লাইনচ্যুত হয় ট্রেনটি। রেল কর্তৃপক্ষ এটাকে সাধারণ দুর্ঘটনা হিসেবে দেখতে নারাজ। তাঁদের দাবি, পরিবহণ পরিষেবায় অবৈধ হস্তক্ষেপ হয়েছে। তবে কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা নিয়ে কিছু জানানো হয়নি। Baza এবং SHOT টেলিগ্রাম চ্যানেলের দাবি, সেতুগুলি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও এনিয়ে ইউক্রেন প্রশাসনের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
এই ঘটনার রেশ কাটার আগেই ফের ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে রবিবার সকালে। চলন্ত মালগাড়ি সমেত ভেঙে পড়ে ব্রিজ। ঘটনাটি ঘটেছে কুরস্ক এলাকায়। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই। গভর্নর আলেকজান্ডার জানিয়েছেন, সেতুর উপর দিয়ে মালগাড়ি যাওয়ার সময় সেতু নিচে ভেঙে পড়ে। রাস্তায় আছড়ে পড়ে মালগাড়ির কিছু অংশ। দুটি ঘটনার নেপথ্যে নাশকতার ছক রয়েছে বলে মনে করছে রাশিয়ার গোয়েন্দারা।
উল্লেখ্য, রাশিয়া-ইউক্রেনের সংঘর্ষ চলাকালীন সীমান্ত এলাকায় একাধিকবার ড্রোন হামলা, গোলাবর্ষণের মতো ঘটনা ঘটেছে। নাশকতার ঘটনাও সামনে এসেছে। তাই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জোড়া রেল দুর্ঘটনাকে স্রেফ দুর্ঘটনা হিসেবে দেখতে নারাজ গোয়েন্দারা।