সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মায়ানমার সেনার চরম নৃশংসতা! রবিবার বিক্ষোভকারীদের হঠাতে এলোপাথাড়ি গুলি চালাল মায়ানমার (Mayanmar) সেনা। তাদের গুলিতে ইয়াঙ্গন শহরের বিভিন্ন প্রান্তে মৃত্যু হল সাতজনের। জখম বহু। একজন পুলিশকর্মীও মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
আচমকাই মায়ানমারের গণতান্ত্রিক সরকারকে ফেলে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। সেনার বিরুদ্ধে পথে নেমেছে আমজনতা। গণতন্ত্র ফেরাতে পথে নেমেছেন তাঁরা। সেই বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে তৎপর সেনাবাহিনী। এদিন সকাল থেকে ইয়াঙ্গন শহরের বিভিন্ন এলাকায় জড়ো হন বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ। শূন্যে গুলিও চালায় তাঁরা। এরপরও বিক্ষোভ বাগে আনতে না পেলে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় বলে অভিযোগ। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে এক শিক্ষিকাও ছিলেন। সেনা ও পুলিশের আক্রমণাত্মক রূপ দেখে ভয় পেয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি।
[আরও পড়ুন : চিনের ‘আনারস লড়াই’, তাইওয়ানকে শায়েস্তা করতে হাস্যকর পদক্ষেপ বেজিংয়ের]
পুলিশের লাঠির ঘা, গুলিতে জখম হয়েছেন বহু মানুষ। তাঁদের সরিয়ে নিয়ে গিয়েছেন অন্য আন্দোলনকারীরা। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, বিক্ষোভকারীদের ছোড়া পাথরের আঘাতে মৃত্যু হয়েছে এক পুলিশ কর্মীর। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ছবি দেখে নেটিজেনরা বলছেন, কার্যত রনাঙ্গনের চেহারা নিয়েছে ইয়াঙ্গন।
উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ দেশের দখল নেয় মায়ানমারের সেনাবাহিনী। ভোটে কারচুপির অভিযোগে বন্দি করা হয় প্রশাসক আং সান সু কি-সহ গণতান্ত্রিক সরকারের প্রতিনিধিদের। ‘দেশের স্বার্থেই’ এই পদক্ষেপ বলে দাবি করে সেনাবাহিনী। এমনকী, প্রথম সপ্তাহে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সেই অর্থে কোনও কড়া পদক্ষেপও করেনি টাটমাদাও। সূত্রের খবর, দেশটির সেনাপ্রধান মিন আং হ্লাইং ও তাঁর সামরিক আধিকারিকরা মনে করেছিলেন, শুরু থেকেই সেনাশাসনে অভ্যস্থ মায়ানমারের জনতা। তাই প্রাথমিক উত্তেজনা ও প্রতিবাদ কেটে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবে এর বিপরীতে দাঁড়িয়েছে ঘটনাবলী।