সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইরানের পারমাণু গবেষণা কেন্দ্র ও সামরিক ঘাঁটিতে মারণ হামলার পর এবার বিস্ফোরক দাবি ইজরায়েলের। শনিবার ইহুদি সেনার তরফে দাবি করা হল, এই হামলায় ইরানের ৯ জন পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যা করেছে তারা। আইডিএফ-এর তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, 'অপারেশন রাইজিং লায়নের মাধ্যমে বায়ুসেনার হামলায় ৯ জন পরমাণু বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞের মৃত্যু হয়েছে। যারা ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত।' শুধু তাই নয়, মৃত বিজ্ঞানীদের নামের তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে ইজরায়েলের তরফে।
ইহুদি সেনার তরফে জানানো হয়েছে, 'এই হামলায় ৯ জন বিজ্ঞানীর মৃত্যু ইরানের পরমাণু অস্ত্র তৈরির প্রচেষ্টায় বিরাট বড় ধাক্কা।' আধিকারিকদের তরফে জানানো হয়েছে, পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ও সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে বিমানে মাধ্যমে। যে ৯ জন পরমাণু বিজ্ঞানীর মৃত্যু হয়েছে তাঁরা হলেন ফেরেইদুন আব্বাসি, মহম্মদ মেহেদি তাহরানচি, আকবর মোতালেবি জাদেহ, সইদ বারজি, আমির হাসান ফাখাহি, আব্দুল আল হামিদ মিনউশেহর, মানসউর আসগারি, আহমেদ রেজা জোলফাগারি দারিয়ানি এবং আলি বাখোয়েই কাতিরিমি। ইজরায়েলের দাবি, পরমাণু ক্ষেত্রে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ছিল এই বিজ্ঞানীদের। এরা সকলেই ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানের জনক মোহসেন ফাখরিজাহেদের উত্তরসূরি ছিলেন যাঁকে ২০২০ সালে হত্যা করে ইজরায়েল।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার রাতে ইজরায়েলের হামলার পর ইরানের রাষ্ট্রদূত রাষ্ট্রসংঘে জানান, ইজরায়েলের হামলায় ৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৩২০ জন। ইরানের সামরিক ঘাঁটি এবং পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার লক্ষ্য করে আকাশপথে এই হামলা চালানো হয়। তার জেরে মৃত্যু হয়েছে ইরান সেনার চিফ অফ স্টাফ মহম্মদ বাঘেরি, রেভোলিউশনারি গার্ডসের কমান্ডার হোসেন সালামি, ইরানের এমার্জেন্সি কমান্ডের কমান্ডার এবং দুই শীর্ষ সেনা আধিকারিকের। প্রাণ হারিয়েছেন ইরানের প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আলি শামখানিরও। এছাড়াও অন্তত ৬ জন বিজ্ঞানীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরান।
অন্যদিকে, গতকাল রাতে ইজরায়েলে পালটা হামলা চালিয়েছে ইরান। ৬৫ মিনিটে ২০০টি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়েছে তেহরান। এমনটাই দাবি, সংবাদমাধ্যমের। ইরান এই অপারেশনের নাম রেখেছে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস ৩’। তেহরানের দাবি, তাদের মূল লক্ষ্য ইজরায়েলের সেনাঘাঁটিগুলিই। এদিনের অপারেশনে এখনও পর্যন্ত ১ জনের মৃত্যুর কথা জানা গিয়েছে। আহত ৩৪।
