সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভিয়েতনামে চাষের জমিতে তৈরি হচ্ছে ট্রাম্প পরিবারের গলফ ক্লাব। যা তৈরি করতে খরচ পড়বে ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় তা ১৩ হাজার ১৪৩ কোটি টাকারও বেশি! আর এই ক্লাব ঘিরেই শুরু বিতর্ক। ক্ষতিপূরণ দেওয়া হলেও তা নিয়ে সন্তুষ্ট নন কৃষিজীবীরা। বলে রাখা ভালো, এই ক্ষতিপূরণের বিষয়টা আদৌ ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের হাতে নেই। ভিয়েতনামের রিয়েল এস্টেট সংস্থা ‘কিনব্যাক সিটি’ সেটা দেখভাল করছে।
ঠিক কী অভিযোগ? ভিয়েতনামের হাং ইয়েন প্রদেশে ট্রাম্পের গলফ ক্লাবে কেবল ৫৪ হোলের গলফ কোর্সই নয়, থাকছে বিলাসবহুল ভিলা, রিসর্ট ও পুরোদস্তুর আর্বান কমপ্লেক্স। অথচ ক্ষতিপূরণ হিসেবে জন্য প্রতি বর্গ মিটারে মাত্র ১২ ডলারও অফার করা হয়েছে কোনও কোনও কৃষককে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের তরফে এমনই দাবি করা হয়েছে। সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ ৩০ মার্কিন ডলার প্রতি বর্গ মিটারে। অর্থাৎ ১০৫২ টাকা থেকে ২৬৩১ টাকার মধ্যেই তা ঘোরাফেরা করছে প্রতি বর্গ মিটারে ক্ষতিপূরণের হিসেবে। আর এতেই রুষ্ট কৃষকরা। তাঁদের দাবি, কোনও রকম দর কষাকষির সুযোগ তাঁদের দেওয়া হচ্ছে না। এদিকে ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী ফাম মিন চিন গত মে মাসেই প্রকল্পের ভিত্তপ্রস্তর স্থাপনের সময় দাবি করেছিলেন, মিলবে ন্যায্য ক্ষতিপূরণ। কিন্তু বাস্তব ছবিটা একেবারেই অন্যরকম বলে দাবি কৃষকদের। বিশেষত বয়স্ক কৃষকদের দাবি, এই অর্থ একেবারেই যথেষ্ট নয়। আগামিদিনে তাঁদের ভবিষ্যৎ ঘোরতর অন্ধকারে তলিয়ে যাবে, বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, এই জমিগুলির আসল মালিকানা ভিয়েতনাম সরকারের হাতেই। তবে কৃষকদের দীর্ঘকালীন চুক্তিতে চাষের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। জনস্বার্থেই জমিগুলি নিয়ে নেওয়া হচ্ছে, এমনটাই দাবি। ভিয়েতনাম সরকার স্বপ্ন দেখছে, এই গল্ফ ক্লাব পর্যটনের নতুন দিগন্ত খুলে দেবে সেদেশে। পাশাপাশি ভিয়েতনাম তার রপ্তানির উপর মার্কিন শুল্ক কমানোর চেষ্টা করেছিল।। আর সেই কারণেই খুব দ্রুত সিলমোহর দেওয়া হয়েছে প্রকল্পে। বলে রাখা ভালো, গত শতকের ছয়ের দশকে ভিয়েতনামের কাছে হারতে হয়েছিল আমেরিকাকে। আর সেদেশেই এবার তৈরি হচ্ছে ট্রাম্প পরিবারের গলফ ক্লাব।
