চেরনিভিৎসি, ইউক্রেন: কোথা থেকে শুরু করব বুঝতে পারছি না। হঠাৎ করে গুমোট হয়ে গেল ইউরোপের রাশিয়ার (Russia) অংশটুকু বাদ দিলে বৃহত্তম দেশ ইউক্রেন (Ukraine)। এখানেই শুনশান রাস্তা। এটিএম থেকে টাকা তোলার ব্যস্ততা। অথচ কয়েকশো লোকের লাইন ঠেলে এটিএমের দরজা পর্যন্ত পৌঁছলেও শান্তি নেই। ততক্ষণে টাকা শেষ। প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে, জল-খাবার বা অন্য নিত্যদিনের সামগ্রী ঘরে মজুত রাখতে। কিন্তু ভয়ে দোকানপাট বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। গোটা ইউক্রেনজুড়ে কোথাও যেন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মূর্ছনা। নেপথ্যে ভ্লাদিমির পুতিনের ‘স্পেশাল মিলিটারি অপারেশন’ (Russia-Ukraine Conflict)।
কিয়েভ, খারকেভ এলাকায় পরপর বোমার শব্দ। টিভিতে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক মাশরুম ব্লাস্টের ছবি রক্তাক্ত করছে হৃদয়। অথচ বছর তিনেক আগে ডাক্তারি পড়তে আসার সময় নিজের দেশ এবং প্রিয়জনদের ছাড়ার কষ্ট ছিল। আজ, চেরনিভিৎসির মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের রুমে বসে ভাবছি, কবে আবার মা-বাবাকে দেখতে পাব! যুদ্ধ হবে আশঙ্কা করেই আগামী ৪ মার্চ দেশে ফেরার টিকিট কেটেছিলাম। তবে রাতে খবর পেলাম শুক্রবারই বুদাপেস্ট দিয়ে আমাদের ফেরার ব্যবস্থা করছে দিল্লি।
[আরও পড়ুন: পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা মোদির, ইউক্রেনের আবেদনেই কি সাড়া দিল ভারত?]
কোভিডের ছোবল নয়, ভ্লাদিমির পুতিনের একটা সিদ্ধান্ত কত নিরীহ মানুষের প্রাণ নেবে! কত মানুষকে পেটে মারবে! শুধু নিজের প্রাণভয় নয়, বন্ধুদের নিয়েও ভাবছি। কয়েকজন বুধবারই কিয়েভে গিয়েছিলেন। তাঁদের ফিরতে বলে দিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু ওঁরা ফিরবেন কীভাবে? গাড়ি বন্ধ। ট্রেন নেই। দেশের সেনাই ভরসা। কিন্তু ইউক্রেনের বড় বড় সেনা ছাউনিগুলোই পুতিনের টার্গেট।
ইতিমধ্যেই ইউক্রেন ছেড়ে অন্য দেশে পালানোর চেষ্টা করছেন অধিকাংশ মানুষ। প্রবল ভিড় বাসস্ট্যান্ডে। একমাত্র উপায় বাসে করেই দেশত্যাগ।